নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আব্দুল কাদের মিলন নামে (৩৫) এক যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক এ হত্যাকান্ডের কোন কারণ জানাতে পারেনি। নিহতের পরিবারের বলছে, রাজনৈতিক রেশ ধরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়ার পথে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে, গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার চরপাবর্তী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের হাফেজ আব্দুর রহীম এতিম খানার সামনে তাকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করা হয়।
নিহত মিলন উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলে এবং একই ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের আমিন মাঝি বাড়ির মো.ইসমাইলের ছেলে।
নিহতের ছোট ভাই আব্দুর রহীম রাকিব জানান, গত ৫ আগস্টের পর তার বড় ভাই মিলন বাড়ি থেকে চলে যান। এরপর তিনি সৌদি আরব গিয়ে ওমরাহ পালন করেন। ঈদুল ফিতেরর দ্বিতীয় দিন তিনি দেশে ফিরেন। শুক্রবার রাতে আমার ভাই মিলন আমার সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে পার্শ্ববর্তী ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলায় তার অসুস্থ শালাকে দেখতে যান। রাত ৯টার দিকে সেখান থেকে ফেরার পথে কোম্পানীগঞ্জের চৌধুরীহাট বাজার এলাকার চুয়ানির টেক এলাকায় আমাদের সিএনজি পৌঁছলে ২-৩টি মোটরসাইকেলে আরোহী আমাদের সিএনজিকে ফলো করে আমাদের ধাওয়া করে। বিষয়টি আমার ভাই বুঝতে পেরে তিনি তার মামা শশুর যুবদল নেতা মাইন উদ্দিনকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানায়। এরমধ্যে মোটরসাইকে আরোহীরা আমাদের ধরে পেলে।
রাকিব আরো জানান, পরে হামলাকারীরা আমার ভাইকে আমার থেকে ছিনিয়ে নিয়ে উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের হাফেজ আব্দুর রহীম এতিম খানার সামনে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে লোহার পাইপ দিয়ে ৪ঘন্টা ধাপে ধাপে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। যুবদল নেতা মাইন উদ্দিন আমাদের বাঁচাতে এলে হামলাকারীদের তোপের মুখে পড়ে তিনি চলে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রথমে আমার ভাইকে হামলাকারীদের থেকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। পরে সেনাবাহিনী এসে তাকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের স্ত্রী বিবি জুলেখা বলেন, আমার স্বামী মৃত্যুর আগে তার হামলার সঙ্গে জড়িত ২০-২৫জনের নাম বলে গেছে। তারা বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আমার এখন কারো নাম,কোন কিছুই মনে আসছেনা। পরে হামলার সাথে জড়িতদের নাম জানাবো।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন বলেন,এ ঘটনার সাথে কোন বিএনপির লোক জড়িত ছিল না। গত ১৫ বছর সে এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাসের রাজত্ব চালায়। তার হাতে নিষ্পেষিত লোকেনের
ক্ষোভের বহিপ্রকাশের শিকার হয় সে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, জামায়াত-বিএনপির লোকজন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনার রহস্য উৎঘাটন করবে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। উন্নত চিকৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল ইনজেকশনে এক প্রবাসী যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতাল বন্ধ ও ডাক্তারের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে নিহতের স্বজনেরা।
গতকাল শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে নিহতের স্বজনেরা উপজেলার বসুরহাট বাজারে এ বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা অভিযুক্ত ডাক্তারের গ্রেপ্তার ও হাসপাতাল বন্ধের দাবিতে বসুরহাট সেন্টাল হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ওই প্রবাসী যুবকের মৃত্যু হয়।
নিহত শাহরিয়ার মাহমুদ আবির (২৮) উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের সানাউল্যাহ বাহারের ছেলে এবং আবুধাবি প্রবাসী ছিলেন।
নিহতের ছোট ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন জানান, গত পাঁচ বছর ধরে আমার বড় ভাই আবির আবুধাবিতে বাবার সাথে ব্যবসা করত। গত তিন বছর আগে তিনি বিয়ে করেন। প্রতি বছর তিনি দেশে আসা যাওয়া করতেন। গত বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি আধুধাবি থেকে বাড়িতে আসেন। তাৎক্ষণিক তার হালকা ডায়রিয়া ও জ্বর দেখা দিলে আমি, আমার মা ও ভাবী তাকে নিয়ে উপজেলার বসুরহাট সেন্টাল হাসপাতালে যাই। ওই সময় ডিউটি ডাক্তার বেলায়েত হোসেন মাহমুদ তার শরীরে একটি ইনশেকজন পুশ করে। এতে আমার ভাইয়ের চোখ,মুখ লাল হয়ে শরীরে জ্বালা পোড়া শুরু হয় এবং প্রেশার একবারে কমে যায়। পরে তার অবস্থা বেগতিক দেখে রাত ৮টার দিকে বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে রেফার্ড করে দেয়। এরপর তাকে ফেনীর জেড ইউ হসপিটালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকার বারডমে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঢাকার বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ইমন আরো জানান, ইনজেকশনের প্রেসক্রিপশন দেখে ভুল ইনজেকশনে আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আমরা অভিযুক্ত ডাক্তারের বিচার ও হাসপাতাল বন্ধের দাবি জানাই
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের বক্ষব্যাধি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালের এমডি ডা.আ.ফ.ম আব্দুল হক অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, অভিযোগ যারা করেছে তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলে কিছুই বুঝবেনা। রোগীর বমি ছিল ও আগে থেকেই প্রেশার একেবারে ডাউন ছিল। তখন আমাদের ডিউটি ডাক্তার স্যালাইন,ইনজেকশন দিয়ে তাকে ভর্তি দেয়। পরবর্তীতে তিনি বললেন স্যার আসলে দেখবে।
তিনি আরো বলেন,পরে আমাকে রোগীর ভর্তির বিষয়টি জানানো হয়। আমি রোগী দেখতে গেলে দেখি রোগীর প্রেশার একেবারে ডাউন, নেই বললেই চলে,অস্থিরতা করতেছে। অনেক সময় ডেঙ্গুর শক থেকেও এমনটা হতে পারে। যা মাথায়ও এফেক্ট করতে পারে। রোগীর মামাও লোকাল ডাক্তার। রাত ৮টার দিকে রোগী একটু প্রেশার বাড়ে এবং স্ট্রেবল হলে রোগীর স্বজনেরা তাকে ফেনী নিয়ে যায়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, নিহতের স্বজনেরা প্রথমে বলেছিল ভুল চিকিৎসা। তবে নিহতের স্বজনেরা কোন আইনগত ব্যবস্থা নিবেনা
৭ মাস আগে
নোয়াখালী সদর উপজেলায় এক কিশোর চালককে হত্যা করে করে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষণিক পুলিশ হত্যাকান্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের ডাক্তার বাজার স্লুইস গেইট খাল সংলগ্ন একটি কবরস্থানের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মো.বাবর হোসেন (১৮) উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম করিমপুর এলাকার মো.সেলিমের ছেলে।
নিহতের দূর সম্পর্কের খালাতো ভাই মো.রাজীব জানান, সাব্বির নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির অটোরিকশা ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত বাবর। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার সাথে আমার শেষ দেখা হয়। ওই সময় তাদের বাড়ির সামনে এক বন্ধুর সাথে তার অটোরিকশার উপর বসে আড্ডা দিচ্ছে। বাবর বলেছিল রাতে তার একটি ভাড়া আছে। কিন্ত কার ভাড়া এ সম্পর্কে কিছু জানায়নি। এরপর রাত ১০টার পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। রাত ৩টার দিকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে ফোন দিলে অপরিচিত এক ব্যক্তি ফোন রিসিভ করে জানায় ফোনটি সোনাপুর জিরো পয়েন্টে রাস্তার ওপর পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নম্বরে ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে বাবর তার অটোরিকশাসহ নিখোঁজ ছিল।
রাজীব আরো জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এক নারী শাক তুলতে গিয়ে উপজেলার ডাক্তার বাজার স্লুইসগেইট খাল সংলগ্ন কবরস্থানের পাশে বাবরের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। একই সময়ে বাবরের বোনেরা ভাইয়ের নিখোঁজের বিষয়ে সুধারাম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধারের খবর পায়। খবর পেয়ে বাবরের অটোরিকশার মালিক সাব্বির এবং আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হই। দিদারের গলায় শক্ত কিছু পেঁচানোর আঘাতের চিহৃ রয়েছে। ধারণা করছি, অটোরিকশা ছিনিয়ে নিতেই বাবরকে গলায় শক্ত কিছু দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
এ বিষয়ে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসরাম বলেন, নিহত কিশোর অটোরিকশা চালক কিনা জানিনা। তবে আমরা একটা তথ্য পেয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।
বেনাপোলে ওয়াজ মাহফিল শুনতে যাওয়ার পথে লাল্টু (৩০) নামের এক যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাত ১১ টার দিকে বেনাপোল পোর্ট থানার গয়ড়া গ্রামের রাস্তার ব্রিজের ওপর এ ঘটনা ঘটে।
আহত লাল্টু শার্শা উপজেলার উলাশী ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের জহুরুল আলী বিশ্বাসের ছেলে। তিনি উলাশী ইউনিয়ন যুবদলের একজন সক্রিয় কর্মী।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বেনাপোল পোর্ট থানার রাজাপুর গ্রামে শুক্রবার রাতে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে এলাকাবাসী। লাল্টু ঘটনারদিন রাতে রামপুর নিজ গ্রাম থেকে ওয়াজ মাহফিল শুনতে রাজাপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে গয়ড়া গ্রামের রাস্তার শেষ মাথায় ব্রিজের ওপর পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে তার চিৎকার শুনে পথচারীরা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় লাল্টুকে উদ্ধার করে প্রথমে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া জানান, লাল্টু নামের যুবদলের এক কর্মীকে কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়েছি। সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। তবে অভিযোগ পেলে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ উত্তর বুরুজবাগানে অবস্থিত সেই ফাতিমাতুজ্জোহরা কওমী মহিলা মাদ্রাসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) এর মধ্যে মাদ্রাসার ছাত্রীদের নিজেদের পরিবারে ফিরে যেতে হবে।
মাদ্রাসাটির ভবিষ্যৎ কী হবে তা বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবে। একইসাথে এখন থেকে দেশে আর কোনো কওমী মহিলা মাদ্রাসায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা যাবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন বোর্ডের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এক ম্যারাথন সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় মাদ্রাসাটির পরিচালক মাওলানা তরিকুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন। তিনি নিজের ভুল স্বীকার করে লিখিত দিয়েছেন।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী নাজিব হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় তার দপ্তরে ওই সভা শুরু হয়। সভায় যশোর থেকে প্রায় ৩০ জন মাওলানা অংশ গ্রহণ করেন।
সভায় কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নেতৃবৃন্দ বলেন, তারা বিষয়টি নিয়ে খুবই বিব্রত। এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা যাতে আর ভবিষ্যতে না ঘটে সে ব্যাপারে বোর্ডের পক্ষ থেকে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন- কওমী মাদ্রাসা বোর্ডের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা আনোয়ারুল কমির যশোরী ও মাওলানা নাসিরুদ্দিন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- যশোরের নাভারণ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান।
উল্লেখ্য- মাদ্রাসাটিতে ছাত্রীদের শোয়ার কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যাপারে এক অভিভাবক যশোর পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে ওই মাদ্রাসায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ানের নেতৃত্বে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় মাদ্রাসা থেকে ১৬টি সিসি ক্যামেরা অকেজো করে মূল মেশিনটি জব্দ করে নিয়ে যায় পুলিশ।
নোয়াখালীর হাতিয়াতে বিয়ে নিয়ে বাগবিতন্ডার জের ধরে ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড়
ভাই খুন হয়েছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরের দিকে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তাজনাহার বাদী হয়ে
হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার
সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের চরচেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ পেয়ে
তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত ছোট ভাই মো.সাকিবকে (২৪) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নিহত রাকিব উদ্দিন (৩০) একই গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় জানায়, ছোট ভাই সাবিক আগে ৩টি বিয়ে করে। এর মধ্যে কয়েক দিন
আগে তিনি আরো একটি বিয়ে করেন। চতুর্থ বিয়ে নিয়ে শুক্রবার রাত ২টার নিজ বাড়িতে
বড় ভাই রাকিবের সাথে ছোট ভাই সাকিবের বাগবিতন্ডা বেধে যায়। একপর্যায়ে সাকিব
উত্তেজিত হয়ে বড় ভাই রাকিবকে বুকে ও বুকের পাশে ছুরিকাঘাত করেন। এতে তিনি
গুরুত্বর আহত হন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরবর্তীতে খুন
করার পর ছোট ভাই সাকিব নিজেই জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল করে তার বড়
ভাইকে খুন করার বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ তাকে নিজের গ্রাম গ্রেপ্তার করে থানায়
নিয়ে আসে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.কে.এম আজমল হুদা বলেন, মরদেহ ময়না
তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ
ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছোরা আসামির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার করা হয়েছে
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে রামপুর ইউনিয়নের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেসার্স বামনী ব্রিকস ম্যাুংফ্যাকচারিং কোম্পানী নামে ইটভাটা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতা ছিদ্দিক উল্যাহ ভুট্রু। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
অভিযোগ উঠেছে, খোদ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের যোগসাজশে চলছে এ ইটভাটা। নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এ ভাটায় নিয়মিত পোড়ানো হয় কাঠ। এতে চিমনি থেকে নির্গত বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় আশপাশের বাসিন্দা বিশেষ করে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এ অবৈধ ইটভাটা স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না নোয়াখালী পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য রামপুরে ঘনবসতিপূর্ণ বনজ ও কৃষিজমি, ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, একটি মসজিদ ও ৩৫০টি পরিবার বেষ্টিত। প্রায় ২ একর জায়গার ওপর ২০১৭ সালে সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ছিদ্দিক উল্যাহ ভুট্রু এই ইটভাটা নির্মাণ করেন। তিনি এলাকায় কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ওই সময় অবৈধ ইটভাটা নির্মাণ বন্ধে স্থানীয় বাসিন্দা ইসমত আরা রুমা, আবু নাছের,মহসিন ওরফে লাল মিয়া ও মো.সেলিম বাদী হয়ে নোয়াখালী জেলা অধিদপ্তর কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করে কোনো প্রতিকার পাননি। এমনকি হাইকোর্ট রিট পিটিশন দায়ের করেও কাদের মির্জার হুমকিতে তুলে নিতে বাধ্য হয়। গণ–অভ্যুত্থানে পটপরিবর্তনে স্থানীয় বাসিন্দা মো. সেলিম পুনরায় ২০২৫ সালে রিট পিটিশন দায়ের করলে হাইকোর্ট ১২৭৪/২০২৫নম্বর রিট পিটিশনের ৩.৩.২০২৫ তারিখের আদেশে বামনী ব্রিকস ম্যাুংফ্যাকচারিং কোম্পানীর কার্যক্রম দুই মাসের মধ্যে বিবাদীদের সম্পূর্ণ বন্ধের নির্দেশ দেন।
সরেজমিন ইটভাটায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে আইন অমান্য করে গড়ে উঠেছে ইটভাটা। কৃষিজমির মাটি কেটে তৈরি করা হচ্ছে ইট। বসতবাড়ির আশপাশেও নির্মাণ করা হয়েছে ইটভাটার চিমনি। ইট বানাতে অবৈধভাবে এসব কাঠ পোড়ানো হয়। এতে স্থানীয়রা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছেন। পাশাপাশি কাঠ পোড়ানোর কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য বিপন্ন হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো.সেলিম বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা ভুট্রুর ইটভাটার কোন পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। এ অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ২০১৭ সালে হাইকোর্টে আমি রিট পিটিশন করি। তৎকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আব্দুল কাদের মির্জার হুমকিতে আমি ওই রিট পিটিশন প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হই। না হলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলত। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ইটভাটা তৈরি করলে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হয় না। জনবসতিপূর্ণ ও আবাসিক এলাকা, স্কুল-কলেজ, কৃষিজমি, বনাঞ্চল এবং ৫০টির অধিক ফলগাছ আছে, এমন জায়গায় ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। তবে আওয়ামী লীগ নেতা ভুট্রু এসব নিয়ম-কানুন না মেনেই ইটভাটা তৈরি করছেন। তার এই ইটভাটার ট্রাক্টরের কারণে সরকারের গ্রামীণ সড়ক ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হয় কাঠ। এতে সৃষ্ট ধোঁয়া ও ছাই থেকে পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। দূষণে বিভিন্ন বয়সী মানুষ বিশেষ করে নারী ও শিশুরা সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। পাশাপাশি ভাটা এলাকার আশপাশের গাছের ফলমূল সব নষ্ট হয়ে যায়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মেসার্স বামনী ব্রিকস ম্যাুংফ্যাকচারিং কোম্পানী মালিক ছিদ্দিক উল্যাহ ভুট্রু বলেন, আদালতের স্টে অর্ডারের বিষয়টি শুনেছি। আমার ইটভাটার প্রথমে পরিবেশ ছাড়পত্র ছিল। পরে আর নবায়ন দেয়নি কর্তৃপক্ষ। এজন্য জেলা প্রশাসকের অনুমোদনও হয়নি। তখন পরিবেশ বলছে আপনারা চালান আমরা কিছু বলব না।
নোয়াখালী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিহির লাল সরদার বলেন, ঊনাদের অবস্থানগত ছাত্রপত্র আছে। তাদের পরিবেশ গত ছাড়পত্রের আবেদনটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাদের যে সকল সমস্যা রয়েছে এজন্য কিছু দিন আগে মেসার্স বামনী ব্রিকসকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, অবৈধ ইটভাটা বন্ধে জেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানি কমেছে। তবে আমদানি কমলেও রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। কাস্টমস কমিশনার মো. কামরুজ্জামানের কঠোর পদক্ষেপের কারণে ৯ মাসে বিগত অর্থবছরের তুলনায় ৩৬৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে কাস্টমস কমিশনার মো. কামরুজ্জামানের তত্বাবধানে শুল্কায়ন ও পরীক্ষনে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করেন। পরে কঠোর নজরদারির কারণে শুল্ক ফাঁকির রোধ করা সম্ভব হয়েছে। ফলে আমদানি কমলেও এ বছর রাজস্ব আদায় বেড়েছে।
২৬ মার্চ বন্দরের ১৭ নম্বর শেড থেকে কাস্টমস্ কমিশনার মো. কামরুজ্জামান মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে আমদানিকৃত প্রায় ৪ কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় ফেব্রিকস আটক করেন। চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি আরও একটি অর্ধ কোটি টাকার অবৈধ পণ্য আটক করা হয়। ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সিঅ্যান্ডএফের লাইসেন্স বাতিলসহ মোটা অংকের অর্থ জরিমানা করা হয়। এ সময় আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে সক্রিয় ভারতীয় পাসপোর্ট চোরাচালানিদের কাছ থেকে ১২ হাজার ৩৪২টি পণ্যের (ডিএম) চালান আটক করা হয়। যা সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে। এখান থেকে পাঁচ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হবে বলে জানিয়েছেন কাস্টম কর্মকর্তা আব্দুল গনি।
এদিকে গত ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই থেকে মার্চ) ভারতে প্রায় ২৮ লাখ ৪০ হাজার ৯৯ টন পণ্য রফতানি হয়েছে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে প্রায় ২৯ লাখ ৪৩ হাজার ৭১ টন পণ্য রফতানি হয়েছিল। হিসাব অনুযায়ী, গত অর্থবছরের তুলনায় ১০ হাজার ২৭২ টন পণ্য কম রপ্তানি হয়েছে।
একই সময় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম ৯ মাসে ভারত থেকে প্রায় ১২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৪৬ দশমিক ২৯ টন পণ্য আমদানি হয়েছে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে প্রায় ১২ লাখ ৫২ হাজার ৭৬৭ দশমিক ২৯ টন পণ্য আমদানি হয়েছিল। হিসাব অনুযায়ী, গত অর্থবছরের তুলনায় একই সময়ে ১৯ হাজার ২০ দশমিক ৮২ টন কম আমদানি হয়েছে।
সূত্র জানায়, পণ্য আমদানি কিছুটা কমলেও চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৩৬৬ দশমিক ১৫ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। বেনাপোল কাস্টম হাউসে চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা। সেই আলোকে অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৪৩২ দশমিক ৩ কোটি টাকা। সেখানে আদায় হয়েছে ৫ হাজার ৭৯৭ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা।
যার মধ্যে জুলাই মাসে ৪১৩ দশমিক ২২ কোটি টাকা, আগস্ট মাসে ৪০১ দশমিক ৫৫ কোটি টাকা সেপ্টেম্বর মাসে ৪৮৯ দশমিক ১১ কোটি টাকা, অক্টোবর মাসে ৫২৪ দশমিক ৬৩ কোটি টাকা, নভেম্বর মাসে ৬১৪ দশমিক ৭১, ডিসেম্বর মাসে ৭৭৮ দশমিক ৯৫ কোটি টাকা, জানুয়ারি মাসে ৬২১ দশমিক ৬৩ কোটি টাকা এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ৮১৮ দশমিক ৫ কোটি টাকা এবং মার্চ মাসে ৭৭০ দশমিক ১১ কোটি রাজস্ব আদায় হয়েছে।
এ বন্দরে আমদানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে শিল্প কারখানার কাঁচামাল, পকল্পের মেশিন, গার্মেন্টস কাপড়, টায়ার, কেমিক্যাল, খাদ্য, ফল,মাছ, কেমিকেলসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য। আর রপ্তানি পণ্যের মধ্যে পাট, পাটের তৈরি পণ্য, তৈরি পোশাক, কেমিকেল, টিস্যু পেপার, মেলামাইন ও মাছ উল্লেখযোগ্য।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ শামছুর রহমান জানান, বৈশ্বিক মন্দা, ডলারের দাম ঊর্ধ্বগতি আর সংকটের কারণ দেখিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কয়েক বছর ধরে এলসির সংখ্যা কমিয়েছেন। এতে আমদানি কমায় গত কয়েক বছর রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে। তবে গত বছর থেকে রাজস্ব আদায় বাড়তে শুরু করেছে। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে উচ্চ শুল্কের পণ্য আমদানি বেড়েছে। শিল্প কারখানার পণ্য আসতে শুরু করেছে। যেকারণে বেনাপোল কাস্টমসে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আল মহসিন মিলন জানান, বিগত সরকারের পতনের পরে দু-দেশের রাজনৈতিক টানাপড়েন থাকায় ভারত থেকে আমদানি কিছুটা কমলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেশিরভাগ আমদানিকারক বেনাপোল বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী। তবে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ রাজস্ব ফাঁকি রোধে কড়াকড়ি আরোপ করায় অসাধু ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান জানান, গত তিন মাস বেনাপোল বন্দরে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল চালু ও বসানো হয় স্ক্যানিং মেশিন। দ্রুত পণ্য খালাস ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ রাজস্ব ফাঁকি রোধ ও বাণিজ্য সহজীকরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এতে বর্তমানে বাণিজ্যে অনেকটা গতি ফিরেছে, কমেছে হয়রানি। যা সামনের দিনে প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখবে।
তিনি জানান, বিগত হাসিনা সরকারের শেষ দিকে পণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খুলতে ব্যাংক থেকে চাহিদা অনুযায়ী ডলার পাওয়া যাচ্ছিল না। এ কারণে সে সময় পর্যাপ্ত এলসি খোলা সম্ভব ছিল না। যে কারণে পণ্য কম আমদানি হয়েছে। সম্প্রতি ডলার সংকট কেটে যাওয়ায় ব্যাংকগুলোতে এলসি খুলতে সমস্যা হচ্ছে না। আশা করছি আমদানি আগের মত স্বাভাবিক হয়েছে যাবে। আমদানি কমলেও রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৩৬৬ দশমিক ১৫ কোটি টাকা বেশি আদায় হয়েছে। রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০ শতাংশের মতো।
তিনি জানান, গত ৪-৫ মাস ধরে ডলার সংকট নেই। ব্যবসায়ীরা ঋণ পত্র (এলসি) খুলতে পারছেন। এতে করে আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। তবে কাস্টমস কর্মকর্তারা দ্রুততার সাথে পণ্য ছাড়করণের পাশাপাশি সরকার শুল্কহার বাড়ানোয় আমাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ট্রাক চাপায় এক সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন ট্রাকসহ চালককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
নিহত রেজাউল করিম (৪৫) উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের ইসমাইলের বাড়ির গোলাম হোসেনের ছেলে। তিনি এক সন্তানের জনক ছিলেন।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার সুধারাম থানা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আটক ট্রাক চালক মো.রুবেল (৩২) ভোলা জেলার পেট মনিকা গ্রামের রফিজুল তালুকদারের ছেলে।
নিহতের স্ত্রী কহিনুর বেগম জানান, বেলা পৌনে ১১টার দিকে যাত্রী ছাড়া মাইজদী টু চৌমুহনী সড়কের সুধারাম থানার একটু সামনে রাস্তার বাম পাশে সিএনজিতে ছিলেন করিম। ওই সময় তিনি ডান পাশে মোড় নিতে গেলে সোনাপুর গ্রামী বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তার সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে তিনি গুরুত্বর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.কামরুল ইসলাম বলেন, থানা থেকে ৫০গজ সামনে সার্কেল অফিসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা ট্রাকসহ চালককে থানায় সোপর্দ করে। মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। নিহতের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৭ মাস আগে
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ক্লুলেস ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক বাবর হোসেন (১৮) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার মূল হোতাকে আটক করেছে র্যাব-১১।
নিহত বাবর উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম করিমপুর এলাকার মো. সেলিমের ছেলে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরের দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালীর কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাইজদী পেট্রল পাম্প এলাকা থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মনিরুল ইসলাম মামুন (৩০) নোয়াখালী পৌরসভার মধ্যম করিমপুর এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে। এ সময় তার কাছ থেকে বাবরের ব্যবহৃত মোবাইল ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি গেঞ্জি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো নিহত বাবরের ব্যবহৃত অটোরিকশাটির সন্ধান পাওয়া যায়নি।
র্যাব-জানায়, গত ৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভাড়া নিয়ে যাওয়ার পর থেকে আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক বাবরের। এরপর থেকে স্বজনেরা যোগাযোগ করেও বন্ধ পাচ্ছিলেন তার মুঠোফোন। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালী সদর উপজেলার কোম্পানিঘাট-সংলগ্ন স্লুইসগেট এলাকার একটি কবরস্থান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি নিখোঁজ ছিল। পরবর্তীতে এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে র্যাবের একাধিক টিম কাজ করে।
র্যাব আরো জানায়, গ্রেপ্তারের পর হত্যাকারী মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হত্যাকান্ডে নিজে জড়িত থাকার বিষয়ে বিস্তারিত স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, কতিপয় ব্যক্তির কাছ থেকে ধার নেওয়া ৪৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ৯০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হওয়ায় অতিরিক্ত টাকা সংগ্রহে তার পরিচিত বাবরের অটোরিকশা বিক্রি করে টাকা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সে মোতাবেক তাকে নিয়ে দত্তেরহাট এসে ফ্রুটিকা জুসের সাথে কৌশলে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে বিনোদপুর ইউনিয়নের জালিয়াল গ্রামের নির্জন বাগানে অটোরিকশা রেখে বাবরকে নিয়ে প্রথমে সোনাপুর যায়। তারপর সিএনজি যোগে পূর্বচর উড়িয়ার সুইসগেট সংলগ্ন কৃষি অফিসের সামনে ডান দিকে নির্জন স্থানের সবজি বাগানে নিয়ে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে দুর্বল করে বাবরকে তার গায়ের লিলেন গেঞ্জি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
র্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালীর কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, ভিকটিমের স্যান্ডেল বাঁশ ঝাড়ের পাশে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত লিলেন গেঞ্জিটি তার পাশের কলাবাগানে রেখে পালিয়ে যায়।
শুধু কেবল টাকার নেশায় সে উক্ত হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামির স্বীকারোক্তি বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি হিসাবে রেকড প্রক্রিয়াধীন আছে। এছাড়াও খোওয়া যাওয়া অটোরিকশা উদ্ধার ও অপরাপর সহযোগী আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
৭ মাস আগে
নিহতরা হলেন, উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ফাজিলপুর এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে মো.সাকিব (১৮) ও একই ইউনিয়নের কেন্দুর ভাগ এলাকার শাহ আলমের ছেলে সাকিব (২০)।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ভোর সোয়া ৪টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর এলাকার নোয়াখালী টু লক্ষীপুর মহাসড়কের জালালের গ্যারেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, লক্ষীপুর থেকে বালু ভর্তি একটি ট্রাক নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভা এলাকায় যাচ্ছিল। এসময় নোয়াখালী টু লক্ষীপুর মহাসড়কের বেগমগঞ্জ উপজেলার জালাল মিয়ার গ্যারেজ এলাকায় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বালু ভর্তি ড্রাম ট্রাককে অপর দিক থেকে আসা বালু ভর্তি আরেকটি একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রাকের হেলপার সজিব ও চালকের বন্ধু সাকিব গুরুত্বর আহত হয়। পরে ভোর ৫টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ও চৌমুহনী ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আহতদের ট্রাক কেটে বের করে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে। ওই সময় ট্রাকের চালক আহত অবস্থায় পালিয়ে যায়।
চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন,পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। লক্ষীপুর থেকে একটি বালুভর্তি ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে নোয়াখালীর চৌমুহনী গ্রামী ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।
নোয়াখালী জেলা বিএনপি' আহবায়ক মাহাবুব আলমগীর আলো ও সংগ্রামী সদস্য সচিব হারুনুর রশীদ আজাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যান পরিষদের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য সাবেক জেলা ছাত্র দলের পেসিডেন্ট তপন মাহমুদ। বর্তমান রাজনৈতিক সময় সাময়িক আলোচনা করেন ১৭এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এতে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির অন্যতম নেতা, আবদুল্লাহ আল মামুন।
মোহাম্মদ হানিফ
যুগ্ম আহবায়ক জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ পরিষদ,নোয়াখালী জেলা,মোঃআনোয়ার হোসেন সদস্য প্রবাসী কল্যাণ,
মোঃ ইসমাইল
সম্পাদক,
জসীমউদ্দীন।
বিএনপি নেতা,
মহিদুল ইসলাম ফরহাদ। সাবেক যুবদল সভাপতি ২ নম্বর কেশারপাড় ইউনিয়ন সেনবাগ, জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ পরিষদ সদস্য নোয়াখালী জেলা ,
কুয়েত প্রবাসী সদস্য মোহাম্মদ আলাউদ্দিনসহ অনলাইন মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ।
নোয়াখালীতে কৃষককে মারধর করে জমি দখলের অভিযোগে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
মোঃরিয়াজুল সোহাগ, জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালীঃ
নোয়াখালীর সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নে জমির বিরোধ মিটাতে দেওয়া ৫০ হাজার টাকা ও দলিল চাইতে বাড়িতে গেলে এক কৃষককে মারধর করা ও তার জমি দখলের অভিযোগ ঊঠেছে এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত যুবদল নেতার নাম মো.আজাদ। তিনি আন্ডারচর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব। ভুক্তভোগী কৃষক একই ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের বাসিন্দা মো.জহির আলম (৫১)।
রোববার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবের পুরাতন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কৃষক। এর আগে, গত সোমবার উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। মারধর করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে গতকাল শনিবার দুপুরে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
কৃষক জহির আলম জানান, উপজেলার মাইজচর এলাকায় তাদের পৈতৃক সম্পত্তি ২ একর ৯০ শতক জমি দীর্ঘদিন ধরে তারা ভোগদখলে ছিলেন। একসময় ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি মনসুর আহমেদ মায়া বর্গা দেওয়ার নাম করে ওই জমি নিজের দখলে নিয়ে নেন। এরপর ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর আন্ডারচর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আজাদ জমির সমস্যার সমাধান করবেন বলে আশ্বাস দিয়ে আমার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ও জমির কাগজ পত্র নেন। দীর্ঘ দিন পেরিয়ে গেলেও সমস্যার সমাধান করেননি। কিন্তু পরবর্তীতে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তার নম্বর ব্লক করে দেন।
জহির আলম অভিযোগ করে বলেন গত সোমবার চারদিন আগে আজাদ মেম্বারের বাড়ি গিয়ে জমির কাগজ পত্র ও টাকা চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করেন।, “প্রথমবার আমাকে মারলেও আমি ভিডিও ধারণ করতে পারিনি। পরে দ্বিতীয়বার যখন তিনি আবার মারধর করেন, তখন আমি মোবাইলে ভিডিও চালু রেখে পকেটে রাখি। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর, গত ১৭ এপ্রিল আজাদ মোল্লার নেতৃত্বে একটি দল স্খানীয় আনন্দবাজার এলাকায় আমাকে( জহির আলমকে) ডেকে নিয়ে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে এবং ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে। জহির আলম বলেন, “তারা আমাকে বলে, ক্ষমা না চাইলে তুলে নিয়ে যাবে। আমি বাধ্য হয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাই।”
যোগাযোগ করা হলে আন্ডারচর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মো. আজাদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই কৃষক স্বীকার করেছে আমাকে কোন কাগজপত্র ও টাকা দেয়নি এমন একটি ভিডিও আমার কাছে আছে। ঊনার বাড়ি চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন। ঊনি আমার এলাকায় এসে জমি জবর দখলের চেষ্টা করছে। দুটি বহিরাগত পক্ষ এ জমির মালিকানা দাবি করছে। দুজনেরই কাগজপত্র ফেলে দেওয়ার মত না। আমি তাকে মারধর করিনি শুধু বলেছি তুই বাড়ি থেকে বের হয়ে যা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
৭ মাস আগে
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার হরণী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জামসেদুল ইসলাম টুটুলকে একই ইউনিয়নের জিয়া মঞ্চের সভাপতি করা হয়েছে। এতে দলটির নেতাকর্মি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টুটুল ছিলেন উপজেলার হরণী ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। স্থানীয় সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর অনুসারী এবং সকল সভা সেমিনারে এক সময় সক্রিয় ছিলেন। নিয়েছেন দলীয় সুযোগ সুবিধা। গত ২৮ নভেম্বর জিয়া মঞ্চের হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়ন শাখার ২০ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে জামসেদুল ইসলাম টুটুলকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এর আগে তিনি একই ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলীয় নেতাকর্মি জানান, বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মিদের দমন নিপীড়নে সহযোগিতা ছিল টুটুলের। সরকার পতনের পর এই ব্যক্তি কিভাবে নিজেকে বিএনপি'র লোক দাবি করে এবং কিভাবে জিয়া মঞ্চের মত সংগঠনের সভাপতি হয় তা বোধগম্য নয় ।
জানতে চাইলে অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে জামসেদুল ইসলাম টুটুল বলেন, সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী আমাকে জোর করে পদ দিয়েছে। আমি পদ প্রত্যাখান করে এলাকা থেকে বেরিয়ে গেছি। তিন বছর এলাকায় থাকতে পারেনি। রক্তাক্ত অবস্থায় আওয়ামী লীগ আমাকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করে। ২০১৮ সালের আগ পর্যন্ত আমি হরণী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। জাতীয় নির্বাচনের সময় সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী নলের চর ও আলী বাজারের আমার দুটি দোকান বন্ধ করে দেয়। নিরুপায় হয়ে সর্বশেষ আমি তার বাসায় যাওয়া লাগছে। বাসায় যাওয়ার পরে ১৮ এর নির্বাচনের সময় আমি তাদের সাথে ছিলাম। এটা সত্য, এরপর আমি নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছি।
তিনি আরো বলেন, আমাকে আমার অনুমতি ছাড়া হাতে লিখিত একটি কাগজের মাধ্যমে নয় সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিতে আমাকে সাধারণ সম্পাদক রাখা হয়েছে । তৎকালীন সময়ে আমি ওই পদ থেকে পদত্যাগ করি। পদত্যাগ করার পরে আমি এলাকায় থাকতে পারিনি। এরপর আমার ওপর হামলা হয়েছে। আমার দোকান বন্ধ করে দেওয়া হলে আমি এলাকা থেকে চলে যাই। এটা আমার এলাকার সবাই জানে। আমার ফেসবুক পোষ্ট থেকে সব প্রমাণ আছে আমার অসম্মতিতে আমাকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ হরণী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। পরে আমি লিখিতভাবে তা প্রত্যাখান করেছি। আমি হরণী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ছিলাম। তৎকালীন আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করাসহ আমাকে অনেক নির্যাতন করা হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা শাখার জিয়া মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক রিপন চন্দ্র দাস বলেন, টুটুলকে ২০১৭ সালের দিকে হরণী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি করা হয়। বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। বিষয়টি জানার পর ওই কমিটি স্থগিত করা হয়েছে। তবে ২০১৮ সাল থেকে টুটুল আমাদের সাথে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় ভাবে জড়িত ছিল।
যোগাযোগ করা হলে নোয়াখালী জেলা জিয়া মঞ্চের আহবায়ক মো:মনির হোসেন বলেন, টুটুল এক সময় ছাত্রদল করত। ২০২০ সালের পর থেকে তিনি ফেসবুকে সরকার বিরোধী ব্যাপক পোষ্ট করেন। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর পুরো কমিটি বাতিল করা হয়েছে।
৭ মাস আগে
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষায় দায়িত্বে অবহেলা করায় ১২ শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহিত দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজ ও জয়াগ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হচ্ছেন, উপজেলার নজরুল একাডেমি উচ্চ বিদ্যাললের সহকারী শিক্ষক শ্যামল কুমার, নুরুল ইসলাম, কেশারপাড় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষক মোস্তফা সুজন, সোনাপুর আলী আকবর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইফুল আলম, মো.তাজুল ইসলাম, শিক্ষিকা ফেরদাউস আক্তার,খলিলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষিকা নূর-এ-জান্নাত, শিক্ষক জাবেদ হোসেন, মাহাবুবের নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহাদাত বানু, আজিমুল ইসলাম,বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাকির হোসেন।
সোনাইমুড়ী উপজেলা কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দ্বীন আল জান্নাত বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজ ও জয়াগ উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র গণিত পরীক্ষা চলছিল। ওই সময় কেন্দ্র পরিদর্শনে যাই আমি। কেন্দ্রে গিয়ে দেখি শিক্ষকদের উপস্থিতি দুটি কেন্দ্রে শিক্ষার্থীরা হট্রগোল করছে। এ সময় শিক্ষকরা নিরব ছিলেন। বিষয়টি আমার নজরে এলে দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ পেয়ে দুটি পরীক্ষা কেন্দ্রের১২ শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে কেন্দ্র প্রধানরা অব্যাহতি দেন। অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষকরা এ বছর বাকী পরীক্ষা গুলোর সময় কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে পারবেনা।
৭ মাস আগে
বেনাপোল প্রতিনিধি
বেনাপোল ¯’লবন্দরে ভারত থেকে আসা পণ্যবোঝাই ট্রাকে স্ক্যানিং কার্যক্রম এক বছরেরও বেশি সময় ধরে
বন্ধ রয়েছে। স্ক্যানিং কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বাড়ছে চোরাচালান।
বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, স্ক্যানিং কার্যক্রম বন্ধ থাকায় দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের সুবিধা হলেও
ভোগান্তি ও হয়রানি পোহাতে হয় সাধারণ ব্যবসায়ীদের। এতে করে নিরাপদ বাণিজ্য ঝুঁকিতে পড়লেও
কোনো মাথাব্যথা নেই কাস্টমস কর্তৃপক্ষের।
বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা জানান, এ পথে যোগাযোগ ব্যব¯’া সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর
ব্যবহার করে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি ব্যবসায়ীদের। বাণিজ্য নিরাপত্তায় কাস্টমস, বন্দর,
বিজিবি ও সরকারি গোয়েন্দা সং¯’া নজরদারি করে থাকে। পণ্যবোঝাই ট্রাকে যাতে মিথ্যা ঘোষণার
কোনো পণ্য বা চোরাচালান পণ্য ঢুকতে না পারে বেনাপোল বন্দরের বাইপাস সড়কে কাস্টমস
নিয়ন্ত্রণাধীন একটি মোবাইল স্ক্যানিং মেশিন রয়েছে। যেটি পরিচালনা করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান
ফাইবার এসোসিয়েটস।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে স্ক্যানিং মেশিনটি এক বছর ধরে বন্ধ থাকার পর অবশেষে বেনাপোল বন্দর
কার্গোভেহিকেল টার্মিনালে নতুন আরেকটি স্ক্যানিং মেশিন বসানো হয়েছে। এটি পরীক্ষামূলক
স্ক্যানিং শেষে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের জন্য তিন মাস আগে সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হলেও পণ্যবোঝাই
কোনো ট্রাক স্ক্যানিং করা হ”েছ না। যে কারণে অবাধে বৈধপথে চোরাচালান ও অনিয়মের ঘটনা
ঘটছে। ফলে নিরাপদ বাণিজ্য ঝুঁকিতে পড়েছে।
ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে পণ্য পরিবহনকারী ট্রাক থেকে ১৬টি স্বর্ণ
চালান আটক করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ। এপারের দুর্বল নিরাপত্তা ব্যব¯’ার কারণে কাস্টমস ও
বন্দর পেরিয়ে অবাধে স্বর্ণসহ বিভিন্ন অবৈধ পণ্য আটক হ”েছ ওপারের পেট্রাপোল সীমান্তে। এছাড়া
স্ক্যানিং মেশিন সচল না থাকায় এই সুযোগে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি বাণিজ্যের নামে
অযোগ্য ও চোরাচালান পণ্য নিয়ে আসছে দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীরা।
আমদানিকারক বাবলুর রহমান জানান, স্ক্যানিং মেশিন বন্ধ থাকার সুযোগে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে
আমদানি বাণিজ্যের নামে চোরাচালানে অতিরিক্ত পণ্য নিয়ে আসছে দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীরা। এতে
অপরাধ বাড়ছে ও সরকার রাজস্ব হারা”েছ। নিরাপদ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে স্ক্যানিং মেশিনটি সচল রাখা খুব জর“রী।
পণ্য বহনকারী ট্রাকচালক মহসিন খান জানান, বন্দরে স্ক্যানিং মেশিন সচল থাকলে চোরাচালান সম্ভব
হতো না। জর“রিভিত্তিতে স্ক্যানিং মেশিন সচল করা দরকার। মেশিন সচল থাকলে ট্রাকে কেউ অবৈধ পণ্য
উঠাবে না।
মেশিন তদারকিতে নিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফাইবার এসোসিয়েটস বেনাপোল অফিসের ব্যব¯’াপক
বনি আমিন জানান, মোবাইল স্ক্যানিং মেশিনটি সচল না থাকায় প্রায় এক বছর তারা পণ্যবোঝাই
ট্রাক স্ক্যানিং করতে পারেননি। নতুন আরেকটি স্ক্যানিং মেশিন কাজ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তবে
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ট্রাক না পাঠানোর কারণে তাদের বসে থাকতে হ”েছ।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আলহাজ মহসিন মিলন বলেন, বাণিজ্য
সহজীকরণ এবং চোরাচালান রোধে স্ক্যানিং মেশিন বসানো হয়েছে। অথচ স্ক্যানিং মেশিন দীর্ঘ এক
বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকলেও কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই। ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার স্বার্থে
এবং বাণিজ্য নিরাপদ রাখতে স্ক্যানিং মেশিন চালু করা অতি জর“রী। আশা রাখছি কাস্টমস দ্র“ত এর পদক্ষেপ
নিবেন।
বেনাপোল ¯’লবন্দরের ডেপুটি ডিরেক্টর মামুন কবীর তরফদার জানান, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বন্দরে স্ক্যানিং
পরিচালনা করছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। স্ক্যানিং মেশিন দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় চোরাচালানের ঝুঁকি
বাড়ছে। নিরাপদ বাণিজ্য নিশ্চিত করতে কাস্টমসকে দ্র“ত স্ক্যানিং সচল করার অনুরোধ জানা”িছ। আশা
করি দ্র“তই এটা সমাধান হয়ে যাবে।
প্রেরক: মহসিন আলী। বেনাপোল প্রতিনিধি। তারিখ--২১.০৪.২৫
মোবা---০১৭১১৮২০৩৯৪বেনাপোল বন্দরে স্ক্যানিং ছাড়াই চলছে পণ্য প্রবেশ,
ঝুঁকিতে নিরাপদ বাণিজ্য
বেনাপোল প্রতিনিধি
বেনাপোল ¯’লবন্দরে ভারত থেকে আসা পণ্যবোঝাই ট্রাকে স্ক্যানিং কার্যক্রম এক বছরেরও বেশি সময় ধরে
বন্ধ রয়েছে। স্ক্যানিং কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বাড়ছে চোরাচালান।
বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, স্ক্যানিং কার্যক্রম বন্ধ থাকায় দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের সুবিধা হলেও
ভোগান্তি ও হয়রানি পোহাতে হয় সাধারণ ব্যবসায়ীদের। এতে করে নিরাপদ বাণিজ্য ঝুঁকিতে পড়লেও
কোনো মাথাব্যথা নেই কাস্টমস কর্তৃপক্ষের।
বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা জানান, এ পথে যোগাযোগ ব্যব¯’া সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর
ব্যবহার করে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি ব্যবসায়ীদের। বাণিজ্য নিরাপত্তায় কাস্টমস, বন্দর,
বিজিবি ও সরকারি গোয়েন্দা সং¯’া নজরদারি করে থাকে। পণ্যবোঝাই ট্রাকে যাতে মিথ্যা ঘোষণার
কোনো পণ্য বা চোরাচালান পণ্য ঢুকতে না পারে বেনাপোল বন্দরের বাইপাস সড়কে কাস্টমস
নিয়ন্ত্রণাধীন একটি মোবাইল স্ক্যানিং মেশিন রয়েছে। যেটি পরিচালনা করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান
ফাইবার এসোসিয়েটস।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে স্ক্যানিং মেশিনটি এক বছর ধরে বন্ধ থাকার পর অবশেষে বেনাপোল বন্দর
কার্গোভেহিকেল টার্মিনালে নতুন আরেকটি স্ক্যানিং মেশিন বসানো হয়েছে। এটি পরীক্ষামূলক
স্ক্যানিং শেষে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের জন্য তিন মাস আগে সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হলেও পণ্যবোঝাই
কোনো ট্রাক স্ক্যানিং করা হ”েছ না। যে কারণে অবাধে বৈধপথে চোরাচালান ও অনিয়মের ঘটনা
ঘটছে। ফলে নিরাপদ বাণিজ্য ঝুঁকিতে পড়েছে।
ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে পণ্য পরিবহনকারী ট্রাক থেকে ১৬টি স্বর্ণ
চালান আটক করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ। এপারের দুর্বল নিরাপত্তা ব্যব¯’ার কারণে কাস্টমস ও
বন্দর পেরিয়ে অবাধে স্বর্ণসহ বিভিন্ন অবৈধ পণ্য আটক হ”েছ ওপারের পেট্রাপোল সীমান্তে। এছাড়া
স্ক্যানিং মেশিন সচল না থাকায় এই সুযোগে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি বাণিজ্যের নামে
অযোগ্য ও চোরাচালান পণ্য নিয়ে আসছে দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীরা।
আমদানিকারক বাবলুর রহমান জানান, স্ক্যানিং মেশিন বন্ধ থাকার সুযোগে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে
আমদানি বাণিজ্যের নামে চোরাচালানে অতিরিক্ত পণ্য নিয়ে আসছে দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীরা। এতে
অপরাধ বাড়ছে ও সরকার রাজস্ব হারা”েছ। নিরাপদ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে স্ক্যানিং মেশিনটি সচল রাখা খুব জর“রী।
পণ্য বহনকারী ট্রাকচালক মহসিন খান জানান, বন্দরে স্ক্যানিং মেশিন সচল থাকলে চোরাচালান সম্ভব
হতো না। জর“রিভিত্তিতে স্ক্যানিং মেশিন সচল করা দরকার। মেশিন সচল থাকলে ট্রাকে কেউ অবৈধ পণ্য
উঠাবে না।
মেশিন তদারকিতে নিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফাইবার এসোসিয়েটস বেনাপোল অফিসের ব্যব¯’াপক
বনি আমিন জানান, মোবাইল স্ক্যানিং মেশিনটি সচল না থাকায় প্রায় এক বছর তারা পণ্যবোঝাই
ট্রাক স্ক্যানিং করতে পারেননি। নতুন আরেকটি স্ক্যানিং মেশিন কাজ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তবে
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ট্রাক না পাঠানোর কারণে তাদের বসে থাকতে হ”েছ।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আলহাজ মহসিন মিলন বলেন, বাণিজ্য
সহজীকরণ এবং চোরাচালান রোধে স্ক্যানিং মেশিন বসানো হয়েছে। অথচ স্ক্যানিং মেশিন দীর্ঘ এক
বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকলেও কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই। ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার স্বার্থে
এবং বাণিজ্য নিরাপদ রাখতে স্ক্যানিং মেশিন চালু করা অতি জর“রী। আশা রাখছি কাস্টমস দ্র“ত এর পদক্ষেপ
নিবেন।
বেনাপোল ¯’লবন্দরের ডেপুটি ডিরেক্টর মামুন কবীর তরফদার জানান, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বন্দরে স্ক্যানিং
পরিচালনা করছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। স্ক্যানিং মেশিন দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় চোরাচালানের ঝুঁকি
বাড়ছে। নিরাপদ বাণিজ্য নিশ্চিত করতে কাস্টমসকে দ্র“ত স্ক্যানিং সচল করার অনুরোধ জানা”িছ। আশা
করি দ্র“তই এটা সমাধান হয়ে যাবে।
প্রেরক: মহসিন আলী। বেনাপোল প্রতিনিধি।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নে নদী ভাঙন রোধে ব্লক স্থাপন, বামনী নদীতে ক্লোজার (বাঁধ) নির্মাণ ও বামনী রেগুলেটর চালু করার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরের দিকে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের চর কচ্ছপিয়ার নদী ভাঙন এলাকায় ওই কর্মসূচি পালন করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কর্মসূচি পালন উপলক্ষে সকাল থেকে চরএলাহী ও পাশ্ববর্তী চরফকিরা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে অসংখ্য নারী-পুরুষ চর কচ্ছপিয়ার নদী ভাঙন এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। দুপুর সাড়ে ১২ টা নাগাদ সেখানে হাজারো নারী পুরুষের সমাগম ঘটে। এ সময় তারা বামনী নদীর ভাঙনকবলীত তীরে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা নদী ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি সম্বলিত ব্যানার পোস্টার ও পেষ্টুন বহন করেন।
মানবন্ধনে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন চরএলাহী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি ইসমাইল তোতা, ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মোহাম্মদ আইয়ুব আলী, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, কোম্পানীগঞ্জের বামনী নদীর ভাঙন প্রতিরোধে চরএলাহী এলাকায় একটি রেগুলেটর নির্মাণ এবং বিকল্প একটি খাল খনন করা হয় কয়েক বছর আগে। কথা ছিল রেগুলেটর নির্মাণকাজ শেষ হলে বামনী নদীতে একটি ক্লোজার (বাঁধ) নির্মাণ করা হবে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ক্লোজার নির্মাণ করা হচ্ছে না। যার দরূন চাপরাশিরখালের দুই পাড়ে জোয়ার-ভাটার তীব্র ভাঙনে এরই মধ্যে শত শত পরিবার ভিটে মাটি হারিয়েছে।বক্তারা বলেন, বর্তমানে বামনী নদী যে ভাবে ভাঙছে, তাতে আগামি বর্ষায় নদীর তীরবর্তী অনেক বাড়িঘর, ফসলী জমি, মাছের খামার নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এ পরিস্থিতিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বামনী নদীতে ক্লোজার নির্মাণ করে ইতোপূর্বে নির্মাণ করে রাখা রেগুলেটরটি চালু করে দেওয়ার দাবি জানান তারা। একই সঙ্গে আলগী দিয়ে অবৈধভাবে বালু বাহী ট্র্যাংকার চলাচল বন্ধ করার দাবি জানান। কারণ ওইসব ট্র্যাংকারের কারণে আলগীর দুই পাড় আরও বেশি পরিমানে ভাঙছে।
বামনী নদীর ভাঙনের কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ভিটেমাটি হারা আবদুল খালেক। তিনি বলেন, বামনী নদী থেকে তার বাড়ি ছিল প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে। বছরখানেক আগে তিনি নদীর ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে এখন অন্যের জমিতে কোন রকমে ছোট্ট একটি ঘর তৈরী করে মাথায় গুঁজছেন। যে হারে নদী ভাঙছে, তাতে আগামি বর্ষায় সেই বসতীও হয়ত আর থাকবে না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নোয়াখালী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হালিম সালেহী বলেন, বামনী নদীর ক্লোজার (বাঁধ) নির্মাণের একটি প্রকল্পের সম্ভাবতা যাছাইয়ের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। তারা চেষ্টা করছেন, অল্প সময়ের মধ্যে সেখানে নদীতে বাঁধ দিয়ে আলগীর খালকে বিকল্প খালের সঙ্গে যুক্ত করে ১৯ ভেন্ট বামনী রেগুলেটরটি খুলে দেওয়ার। তা করা গেলে নদীর ভাঙন কমে যাবে।
বেনাপোল প্রতিনিধি
মালয়েশিয়ায় ক্রেন দুর্ঘটনায় নির্মাণ শ্রমিক আসাদুল ইসলাম (৪০) নামে এক বাংলাদেশির মুত্যু
হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে আসাদুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার বাবা হাতেম আলী
সর্দার।
এর আগে সোমবার (২১ এপ্রিল) মালয়েশিয়া সময় সকাল সাড়ে ১১ টা এবং বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে
৯ টায় সেদেশের সুবাং জয়া শহরে একটি নির্মাধীন ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আসাদুল যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের কৃষক হাতেম আলী
সর্দারের ছেলে।
নিহতের বাবা হাতেম আলী সর্দার জানান, ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় এবং পরিবারকে সুখে রাখতে
আসাদুল ৮ বছর আগে মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবনের শুর“ করেন। সেখানে আসাদুল কনস্ট্রাশনের
নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার দিন সকালে সেদেশের সুবাং জয়া শহরে একটি
নির্মাধীন ভবনে কাজ করার সময় একটি ক্রেনের হলার পরিবর্তন করতে গেলে ক্রেনের খিল খুলে একটি লোহ
অংশ তার মাথার ওপর পড়লে ঘটনা¯’লেই তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে এখন আমরা নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
ছেলের মরদেহ দ্র“ত দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান জানান, প্রবাসে কেউ মারা গেলে
বা তার মরদেহ ফেরত আসলে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ওই পরিবারকে
সহযোগিতা করা হয়। সেক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ আসলে নিহত আসাদুলের পরিবারকে
যতটুকু সম্ভব সাহায্য করব।
প্রেরক: মহসিন আলী। বেনাপোল প্রতিনিধি। তারিখ--২২.০৪.২৫
মোবা--০১৭১১৮২০৩৯৪মালয়েশিয়ায় ক্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল শার্শার আসাদুলের
বেনাপোল প্রতিনিধি
মালয়েশিয়ায় ক্রেন দুর্ঘটনায় নির্মাণ শ্রমিক আসাদুল ইসলাম (৪০) নামে এক বাংলাদেশির মুত্যু
হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে আসাদুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার বাবা হাতেম আলী
সর্দার।
এর আগে সোমবার (২১ এপ্রিল) মালয়েশিয়া সময় সকাল সাড়ে ১১ টা এবং বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে
৯ টায় সেদেশের সুবাং জয়া শহরে একটি নির্মাধীন ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আসাদুল যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের কৃষক হাতেম আলী
সর্দারের ছেলে।
নিহতের বাবা হাতেম আলী সর্দার জানান, ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় এবং পরিবারকে সুখে রাখতে
আসাদুল ৮ বছর আগে মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবনের শুর“ করেন। সেখানে আসাদুল কনস্ট্রাশনের
নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার দিন সকালে সেদেশের সুবাং জয়া শহরে একটি
নির্মাধীন ভবনে কাজ করার সময় একটি ক্রেনের হলার পরিবর্তন করতে গেলে ক্রেনের খিল খুলে একটি লোহ
অংশ তার মাথার ওপর পড়লে ঘটনা¯’লেই তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে এখন আমরা নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
ছেলের মরদেহ দ্র“ত দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান জানান, প্রবাসে কেউ মারা গেলে
বা তার মরদেহ ফেরত আসলে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ওই পরিবারকে
সহযোগিতা করা হয়। সেক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ আসলে নিহত আসাদুলের পরিবারকে
যতটুকু সম্ভব সাহায্য করব।
প্রেরক: মহসিন আলী। বেনাপোল প্রতিনিধি। তারিখ--২২.০৪.২৫
মোবা--০১৭১১৮২০৩৯৪মালয়েশিয়ায় ক্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল শার্শার আসাদুলের
বেনাপোল প্রতিনিধি
মালয়েশিয়ায় ক্রেন দুর্ঘটনায় নির্মাণ শ্রমিক আসাদুল ইসলাম (৪০) নামে এক বাংলাদেশির মুত্যু
হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে আসাদুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার বাবা হাতেম আলী
সর্দার।
এর আগে সোমবার (২১ এপ্রিল) মালয়েশিয়া সময় সকাল সাড়ে ১১ টা এবং বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে
৯ টায় সেদেশের সুবাং জয়া শহরে একটি নির্মাধীন ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আসাদুল যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের কৃষক হাতেম আলী
সর্দারের ছেলে।
নিহতের বাবা হাতেম আলী সর্দার জানান, ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় এবং পরিবারকে সুখে রাখতে
আসাদুল ৮ বছর আগে মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবনের শুর“ করেন। সেখানে আসাদুল কনস্ট্রাশনের
নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার দিন সকালে সেদেশের সুবাং জয়া শহরে একটি
নির্মাধীন ভবনে কাজ করার সময় একটি ক্রেনের হলার পরিবর্তন করতে গেলে ক্রেনের খিল খুলে একটি লোহ
অংশ তার মাথার ওপর পড়লে ঘটনা¯’লেই তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে এখন আমরা নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
ছেলের মরদেহ দ্র“ত দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান জানান, প্রবাসে কেউ মারা গেলে
বা তার মরদেহ ফেরত আসলে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ওই পরিবারকে
সহযোগিতা করা হয়। সেক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ আসলে নিহত আসাদুলের পরিবারকে
যতটুকু সম্ভব সাহায্য করব।
প্রেরক: মহসিন আলী। বেনাপোল প্রতিনিধি। তারিখ--২২.০৪.২৫
মোবা--০১৭১১৮২০৩৯৪
বেনাপোল প্রতিনিধি
মালয়েশিয়ায় ক্রেন দুর্ঘটনায় নির্মাণ শ্রমিক আসাদুল ইসলাম (৪০) নামে এক বাংলাদেশির মুত্যু
হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে আসাদুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার বাবা হাতেম আলী
সর্দার।
এর আগে সোমবার (২১ এপ্রিল) মালয়েশিয়া সময় সকাল সাড়ে ১১ টা এবং বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে
৯ টায় সেদেশের সুবাং জয়া শহরে একটি নির্মাধীন ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আসাদুল যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের কৃষক হাতেম আলী
সর্দারের ছেলে।
নিহতের বাবা হাতেম আলী সর্দার জানান, ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় এবং পরিবারকে সুখে রাখতে
আসাদুল ৮ বছর আগে মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবনের শুর“ করেন। সেখানে আসাদুল কনস্ট্রাশনের
নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার দিন সকালে সেদেশের সুবাং জয়া শহরে একটি
নির্মাধীন ভবনে কাজ করার সময় একটি ক্রেনের হলার পরিবর্তন করতে গেলে ক্রেনের খিল খুলে একটি লোহ
অংশ তার মাথার ওপর পড়লে ঘটনা¯’লেই তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে এখন আমরা নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
ছেলের মরদেহ দ্র“ত দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান জানান, প্রবাসে কেউ মারা গেলে
বা তার মরদেহ ফেরত আসলে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ওই পরিবারকে
সহযোগিতা করা হয়। সেক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ আসলে নিহত আসাদুলের পরিবারকে
যতটুকু সম্ভব সাহায্য করব।
প্রেরক: মহসিন আলী। বেনাপোল প্রতিনিধি। তারিখ--২২.০৪.২৫
মোবা--০১৭১১৮২০৩৯৪
বেনাপোল প্রতিনিধি
মালয়েশিয়ায় ক্রেন দুর্ঘটনায় নির্মাণ শ্রমিক আসাদুল ইসলাম (৪০) নামে এক বাংলাদেশির মুত্যু
হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে আসাদুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার বাবা হাতেম আলী
সর্দার।
এর আগে সোমবার (২১ এপ্রিল) মালয়েশিয়া সময় সকাল সাড়ে ১১ টা এবং বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে
৯ টায় সেদেশের সুবাং জয়া শহরে একটি নির্মাধীন ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আসাদুল যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের কৃষক হাতেম আলী
সর্দারের ছেলে।
নিহতের বাবা হাতেম আলী সর্দার জানান, ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় এবং পরিবারকে সুখে রাখতে
আসাদুল ৮ বছর আগে মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবনের শুর“ করেন। সেখানে আসাদুল কনস্ট্রাশনের
নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার দিন সকালে সেদেশের সুবাং জয়া শহরে একটি
নির্মাধীন ভবনে কাজ করার সময় একটি ক্রেনের হলার পরিবর্তন করতে গেলে ক্রেনের খিল খুলে একটি লোহ
অংশ তার মাথার ওপর পড়লে ঘটনা¯’লেই তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে এখন আমরা নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
ছেলের মরদেহ দ্র“ত দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান জানান, প্রবাসে কেউ মারা গেলে
বা তার মরদেহ ফেরত আসলে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ওই পরিবারকে
সহযোগিতা করা হয়। সেক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ আসলে নিহত আসাদুলের পরিবারকে
যতটুকু সম্ভব সাহায্য করব।
প্রেরক: মহসিন আলী। বেনাপোল প্রতিনিধি।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি নিয়ে বিরোধের জের ধরে অফিসে ঢুকে প্রধান শিক্ষক ইউনুস নবী মানিককে (৫৪) বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টার দিকে উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় কিছু লোকজন ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে একটি বাড়িতে আশ্রয় দেয়।
হামলার শিকার নরোত্তমপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনুস নবী মানিক বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী গত ২৪ অক্টোবর তৎকালীন বেগমগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোতাসিম বিল্লার সামনে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মুক্তার হোসেনের নেতৃত্বে জোর করে আমার থেকে আয়ব্যয়ের হিসাবের খাতা সহ যাবতীয় কর্মকাণ্ডের কাগজ গুলো ও পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর নেওয়া হয়।।
তাৎক্ষণিক বিষয়টি আমি লিখিত ভাবে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি। এ ঘটনার একদিন পর আমি বিদ্যালয়ে গেলে মুক্তারসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমাকে বাধার সৃষ্টি করে এবং জোরপূর্বক থাকতে দেয়নি।
তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, এরপর এ ঘটনায় আমি নোয়াখালী বেগমগঞ্জ সহকারি জজ আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত চলতি বছরের ২০ মে পর্যন্ত ওই পদত্যাগ পত্রের কাযক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। বুধবার বেলা সোয়া ১০টার দিকে আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে প্রবেশ করি। এরপর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মুক্তার হোসেনের ছোট ভাই একরাম হোসেন,ডাক্তার পারভেজ ও পাক ছমিরমুন্সি বাজার পরিচালনা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমানের নেতৃত্বে একদল লোক অফিস কক্ষে ঢুকে। একপর্যায়ে তারা আমাকে বেধড়ক পিটিয়ে শার্ট, প্যান্ট, ছিঁড়ে অর্ধ উলঙ্গ করে অফিস থেকে বের করে দেয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নরোত্তমপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মুক্তার হোসেন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, আমার ভাই ও আমার কোন লোক এ হামলার সাথে জড়িত নেই। ওই শিক্ষক দুর্নীতিবাজ, এজন্য স্থানীয় লোকজন তাকে পিটিয়ে বের করে দিয়েছে। তারা কেন পিটিয়েছে এর উত্তর আমি জানিনা। তার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত চলছে। তিনি স্কুলে ঢুকতে ইউএনও ও শিক্ষা অফিসারের কোন অনুমতি নেননি। উল্টো সন্ত্রাসী নিয়ে স্কুলে ঢুকেন। এর আগেও তিনি একবার সন্ত্রাসী নিয়ে স্কুলে ঢুকতে চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নরোত্তমপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো.আরিফুর রহমান বলেন, যারা প্রধান শিক্ষককে মারধর করেছে তারাই তাকে বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেয় না। প্রধান শিক্ষক স্কুলে যেতে পারে না। স্কুলে যেহেতু যেতে পারে না, সেহেতু তাকেতো আমরা প্রটেকশন দিয়ে স্কুলে নিয়ে যেতে পারব না। সে ক্ষেত্রে আমি জেলা শিক্ষা অফিসারের মতামত নিয়ে একজনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে দিয়েছি।
ইউএনও আরো বলেন, ওই শিক্ষক আদালতে মামলা করেছে। আদালতে যদি রায় পায় ভালো কথা, আদালত যদি তাকে নির্দেশনা দেয়, ফোর্স করে বলে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ আছে, তিনি আগের প্রতিষ্ঠানে যেখানে ছিল, সেখানেও নাকি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট টু মৌলভী বাজার সড়কের সাড়ে ৭ কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ এনে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন ওই এলাকার জনগণ। তবে এ ব্যাপারে নির্বাক ভূমিকায় রয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। স্থানীয়দের অভিযোগ,নোয়াখালী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এমন অনিয়ম হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বসুরহাট টু মৌলভী বাজার সড়কের সাড়ে ৭ কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণের কাজ করছে ঠিকাদার সালাহ উদ্দিন বাবুলের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠিান এস.এ.বি গ্রুপ। কার্যাদেশ অনুযায়ী পিএমপি প্রকল্পের কাজটির প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৩ কোটি টাকা। বালি ভরাট ও পাথর বিছানোর সময়ই স্থানীয়রা সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তুলেন। এরপর যেনতেন ভাবে প্রাইম কোট করা হয়, সিডিউল অনুযায়ী সড়কে প্রাইম কোটও ব্যবহার করা হয়নি। এরমধ্যে প্রায় সাড়ে ৩কিলোমিটার সড়কে সঠিক ভাবে মাটি, ময়লা, ধুলো এবং আলগা উপকরণ অপসারণ না করে রাস্তায় বৃষ্টিতে জমে থাকা মাটির ওপর পিচ ঢালাই শেষ করা হয়।
চরপাবর্তী ইউনিয়ন জামায়াতের কৃষি বিভাগের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) আবদুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন, সড়কটি নির্মাণে সর্বোচ্চ নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। সঠিক ভাবে প্রাইম কোট করা হয়নি,এরপর মাটির ওপর পিচ ঢালাই করা হয়। কিন্তু সওজের কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেও লাভ হয়নি। কারণ সওজের কিছু অসৎ কর্মকর্তা এর সঙ্গে জড়িত। যে কারণে রাতের অন্ধকারে
নিন্মমানের কাজ করেছে। আবার প্রকাশ্যে ঠিকাদার অনিয়ম করছে দেখার কেউ নেই। যেন তেনভাবে কাজ করায় বৃষ্টি মৌসুমে সড়কের কার্পেটিং উঠে যাওয়ার অশঙ্কা করছে অনেকে। একপর্যায়ে শুক্রবার দুপুরের দিকে আমার ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ করে কদমতলা বাজার এলাকায় স্থানীয় এলাকাবাসী কাজ বন্ধ করে দেয়। এলাকাবাসী চলে গেলে তারা অন্য জায়গায় পুনরায় কাজ শুরু করে।
যোগাযোগ করা হলে এস.এ.বি গ্রুপের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো.নাজিম উদ্দিন বলেন, বাজারের একটি পয়েন্টে একটু ডিস্টার্ব হলে কাজ বন্ধ রাখতে বলছে স্থানীয়রা। সেখানে ইলেকট্রিক খুঁটি ও সড়কে দোকানের টিন থাকায় আশে পাশের বিশ মিটার জায়গায় আমাদের রোলার,পানির গাড়ি যেতে পারেনি। এজন্য সঠিক ভাবে সড়কে কনফেকশন হয়নি। তাই এলাকাবাসী কাজ বন্ধ রাখতে বলছে। এছাড়াও অন্যান্য কাজে কয়েক দফা স্থানীয় লোকজন আমাদের কাজ বন্ধ করে।
অভিযোগ নাকচ করে এস.এ.বি গ্রুপের কর্ণধার ঠিকাদার সালাহ উদ্দিন বাবুল বলেন, রাতে সড়কে প্রাইম কোট দেওয়া হয়েছে। সিডিউল মোতাবেক সকল কাজ করা হয়েছে। তবে গাড়ির চাকার সাথে কিছু প্রাইম কোট উঠে চলে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে নোয়াখালী সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৌম্য তালুকদার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই এ বিষয়ে তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি
৭ মাস আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে পুকুরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার দক্ষিণ চরক্লার্ক গ্রামের মনু মিয়ার মেয়ে আলিশা খাতুন (৭) ও একই গ্রামের সাইফুর রহমান মাসুদের মেয়ে পাখি আক্তার (৭)। তারা স্থানীয় ফকির মার্কেট নূরানী মাদরাসার নূরানী বিভাগের ছাত্রী ছিলেন।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরের দিকে উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ চরক্লার্ক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে দিকে দুই শিশু তাদের মায়েদের অগোচরে পুকুরে নামে। ওই সময় তারা পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ের স্বজনরা পুকুরে এক শিশুর মরদেহ ভাসতে দেখে। পরে ডুবন্ত অবস্থায় পুকুর থেকে আরেক শিশুরও মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাদের পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে ২জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
৭ মাস আগে
নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলা থেকে নিখোঁজের দুই দিন পর একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে সাবেক এক ছাত্রদল নেতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক পুলিশ ও নিহতের স্বজনেরা এই হত্যাকান্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
নিহত মীর হোসেন ওরফে সাদ্দাম (৩১) উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামের মনহর আলী পিয়ানো বাড়ির মৃত মমিনুল হকের ছেলে। তিনি রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি এবং রাজগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জিসানের রড-সিমেন্ট দোকান সোলেমান ট্রেডার্সের ম্যানেজার ছিলেন।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে জেলার সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের সওদাগরের বাড়ির পাশের নতুন বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজেন্দ্রপুর নিজ গ্রাম থেকে সাদ্দাম নিখোঁজ ছিলেন। এরপর তার পরিবার বিষয়টি মৌখিক ভাবে বেগমগঞ্জ পুলিশকে অবহিত করে। শনিবার সকাল ৬টার দিকে সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের সওদাগরের বাড়ির পাশের নতুন বাড়িতে আম কুড়াতে যায় কয়েকজন শিশু। সেখানে তারা একটি সেপটিং ট্যাংকের ভিতর পলিথিন মোড়ানো অবস্থায় সাদ্দামের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাদের শৌরচিৎকারে স্থানীয়রা এসে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সদর ও বেগমগঞ্জ থানার একদল পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। নিহতের গলায় ও মুখে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ আবু তাহের বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার। পুলিশ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা করছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
৭ মাস আগে
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন (বিউবো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ চৌমুহনী কার্যালয় রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করছে। একই সাথে গ্রাহকদের নিরলসভাবে সেবা দিতে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিদ্যুৎ শক্তিকে কাজে লাগানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বিউবো সূত্রে জানা যায়, গত বছর জুন-জুলাই মাসে বিউবো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ চৌমুহনী কার্যালয়ের উদ্যোগে ছয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসব ভ্রাম্যমাণ আদালতে বকেয়াধারী, অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী গ্রাহকদের বিরুদ্ধে ৪২টি মামলা দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরে বকেয়া বিল আদায় ও অবৈধ বিদ্যুৎকারী গ্রাহকদের বিরুদ্ধে পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৪৬টি মামলা দেওয়া হয়। এসব মামলা বিপরীতে প্রায় ৯২ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। অপরদিকে, গত বছরের জুলাই মাসে রাজস্ব আদায় করা হয় ৭ কোটি ৮২ লক্ষ ৫৪ হাজার ৮৪৭ টাকা, অক্টোবর মাসে ৯ কোটি ২৩ লক্ষ ৩৪ হাজার ২১৩ টাকা, নভেম্বর মাসে ১১ কোটি ৩৩ হাজার ১৮৭ টাকা, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৭ কোটি ৮১ লক্ষ ৩ হাজার ২১১ টাকা।
বিউবো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ চৌমুহনীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে আগের তুলনায় বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ চৌমুহনী কার্যালয়ে রাজস্ব আদায় বেড়েছে। তবে স্বার্থানেষী মহলের স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটলে অপপ্রচারেরও কমতি থাকেনা। মনগড়া ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে কর্মকর্তাদের ঘায়েলের চেষ্টা করেন। খুঁটি স্থানান্তর প্রক্রিয়া সড়ক বিভাগের নির্দেশনায় ও অর্থায়নে কিছু জায়গায় সম্পন্ন করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে পূর্বে যে অবস্থানে আগে খুঁটি ছিলে তার বরাবর পিছনের দিকে পূর্বের এলাইমেন্ট ঠিক রেখেই কাজ সম্পাদন করা হচ্ছে। ৩৩/১১/০.৪ কেভি লাইন বিউবোর নকশা ও পরিদর্শন বিভাগের প্রণীত ডিজাইন মোতাবেক নির্মিত। এখানে পোলের স্থান বা অবস্থান নির্ধারিত। এতে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই।
বিউবো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ চৌমুহনী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.শাহাদাত ইসলাম বলেন,গত বছরের তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরেরর ২-৩ মাস বাকী থাকার আগেই আমরা সকল লক্ষ্য মাত্রা অর্জন করতে পেরেছি। এই অর্থ বছরের মধ্যে বন্যা পড়েছে। আমরা বন্যা থাকাকালীনও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছি। একটি মহল ব্যক্তি স্বার্থে
আমাদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাজমুন হাসান নিপুনের বিরুদ্ধে কুৎসা রটায়। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখেছি যা পুরোপুরি মিথ্যাচার। পূর্বের এলাইমেন্ট ঠিক রেখে কাজ করতে হয়। এতে মনগড়া কিছু করার সুযোগ নেই।
যশোরের শার্শায় বজ্রপাতে আমির হোসেন (৪০) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৮
এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বেড়ি নারায়নপুর গ্রামে ধানের গাদা দেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী নাজিব হাসান।
মৃত- আমির হোসেন ওই গ্রামের স্কুল পাড়ার কোরবান আলীর ছেলে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী নাজিব হাসান জানান, দুপুরে কৃষক আমির হোসেন বাড়ির পাশে
ধানের গাদা দি”িছলেন। এ সময় বজ্রসহ বৃষ্টি শুর“ হয়। পরে বজ্রপাতে গুর“তর আহত হয়ে ঘটনা¯’লেই তার
মৃত্যু হয়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া
বজ্রপাতের সময় সকলকে নিরাপদ ¯স্থানে থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
প্রেরক: মহসিন আলী। বেনাপোল প্রতিনিধি।
বেনাপোল প্রতিনিধি
যশোরের ঝিকরগাছার উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে
গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা ডিবির ইন্সপেক্টর আতাউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে শনিবার (২৬
এপ্রিল) রাতে ঢাকার পাš’পথ থেকে তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঝিকরগাছার কাউরিয়া গ্রামের মৃত হুমায়ুন রশিদের ছেলে উপজেলা পরিষদের
সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ইমরানুর রশিদ (৪৮), ঝিকরগাছা পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতি ও
পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার পুরন্দরপুর গ্রামের শামসুর রহমানের ছেলে আমির“ল ইসলাম রাজা
(৪৭) ও উপজেলা যুবলীগ নেতা কৃষ্ণনগর গ্রামের ওবায়দুল হকের ছেলে জাফির“ল হক (৪৫)।
ডিবি পুলিশ জানায়, ঢাকার পাš’পথ এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন ওই তিন জন।
এসময় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর পূর্বের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো
হয়। তাঁদেরকে (রবিবার) ঢাকা সিএমএম আদালতে পাঠানো হয়েছে।
প্রেরক: মহসিন আলী।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মো. শাকিল (২৮) নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক হত্যাকান্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গাবর বাজারের ইসলামীয়া মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শাকিল একই গ্রামের মো.সোলাইমান খোকনের ছেলে এবং পেশায় একজন থাই মিস্ত্রি ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, রাত ৮টার দিকে শাকিলসহ কয়েকজন ছয়ানীর গঙ্গাবর বাজারের ইসলামীয়া মার্কেটের একটি দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। ওই সময় এলাকায় একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা করে পাঁচজন অস্ত্রধারী এসে লাবিব নামে এক তরুণকে জোরপূর্বক তুলে নিতে চেষ্টা করে। তখন শাকিলসহ আরো কয়েকজন তাদের বাঁধা দিলে সন্ত্রাসীরা শাকিলকে গুলি করে। এ সময় তার ছোট ভাই শুভকে (২৫) কুপিয়ে জখম করে। তাৎক্ষণিক এলাকার লোকজন দুই ভাইকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শাকিলকে মৃত ঘোষণা করে। পরে স্থানীয় লোকজন অস্ত্রধারী তিন সন্ত্রাসীকে আটক করে গণধোলাই দেয়।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.হাবীবুর রহমান বলেন, গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রয়েছি। এলাকাবাসী অস্ত্রধারী তিনজনকে গণধোলাই দিয়ে আটক করে রেখেছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আমরা তাদের উদ্ধারে চেষ্টা করছি।
৭ মাস আগে
নোয়াখালী সদরে বিএডিসির গুদামরক্ষক ও যুবলীগ নেতা মিরাজ হোসেন শান্তকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুধারাম থানার (ওসি) মো.কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, গতকাল রাত পৌনে ৯টার দিকে মাইজদীর সরকারি আবাসিক এলাকার সামনে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। পরে তাকে আটক করে একই দিন রাতে লক্ষীপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার শান্ত লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা যুবলীগের সদস্য এবং ওই এলাকার মো. শাহজাহানের ছেলে। তিনি নোয়াখালীতে বিএডিসির গুদামরক্ষক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, শান্ত লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার ওপর হমালার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। এছাড়া জেলার বিভিন্ন থানায় তার সহযোগিতায় ও ইন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার হামলার ঘটনা ঘটে। নোয়াখালীতে সাংবাদিকের ওপর হামলার মামলারও আসামি ছিলেন শান্ত। আওয়ামী রাজনীতিতে জড়িত থাকায় চাকরিতে সরকারি নিয়ম নীতির কোন তোয়াক্কা করতেন না তিনি।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিকে তাকে আটক করে থানায় আান হয়। পরে রাতেই তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরকসহ অন্যান্য ধারায় তিনটি মামলা রয়েছে।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ইয়াছিন আরাফাত শাকিলকে(২৬) গুলি করে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরের দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.হাবীবুর রহমান। তিনি বলেন, নিহত শাকিলের বাবা মো.সোলাইমান খোকন বাদী হয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার ধীতপুর গ্রামের মোরশেদ আলম(২৫), জীবন(২৪) ও মনির হোসেন(২২)। তাদের মধ্যে দুইজনকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার পর মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যজনের অবস্থার গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়,মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের যৌথ টিম গঙ্গাবর বাজারের পাশের একটি পরিত্যক্ত ডোবার পাশের ঝোঁপ থেকে সেমি অটোমেটিক একটি পিস্তল এবং পিস্তরের সাথে থাকা একটি খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার করে। এর আগে ঘটনার পরপরই সোমবার রাতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের যৌথ টিম ঘটনাস্থল থেকে এক রাউন্ড তাজা গুলি ও এক রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করে বলে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের গঙ্গাবর বাজার থেকে ৮/৯ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী লাবিব নামে এক তরুণকে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় ইয়াছিন আরাফাত শাকিলসহ কয়েজন মিলে সন্ত্রাসীদের বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা শাকলকে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় অস্ত্রের আঘাতে শাকিলের ছোট ভাই মোজাম্মেল হোসেন শুভর মাথা ফাঁটিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় লোকজন তিন যুবককে ধরে গণপিটুনীর পর পুলিশে দেয়।
৭ মাস আগে
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ১৬ নং কাদিরপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড ইয়ারপুর গ্রামের শামীম (৩০) নামে এক অসহায় দিনমজুরকে ২০২১ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং ২ চট্টগ্রাম ফৌজদারি আদালতে মামলা করে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ সূত্রে জানা যায় । মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় ১৬/৯/২০১২ইং ৪ লাখ টাকা দেন মোহরে সেনবাগের ৯ নং নবীপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের নবীপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন নজির আহমদের বাড়ির নুরুল হকের মেয়ে মায়াধনী ( ৩০) এর সাথে বিবাহ হয়। তাদের সংসারে ১ পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।বেপর্দা বেপরোয়া বদমেজাজি
চলাফেরা স্বামীর শাসন না মেনে সংসারে সব সময় ঝগড়া বিবাদ করতেন ফলে দাম্পত্য জীবনে শুরু হয় কলহ। মায়াধনী চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা চলমান অবস্থা দিনমজুর স্বামী শামীমের সংসার ত্যাগ করে আরেকটি বিয়ে করে। ২০২২ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল নোয়াখালী ১ম আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করে। যার নং ২৮০। দিনমজুর শামীম চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী আদালতে হাজিরা দিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
নোয়াখালীর সদর উপজেলার মাদরাসা থেকে জোবায়ের ইবনে জিদান (১২) নামে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিহতের মা সাবরিনা খাতুন জুমা অভিযোগ করেন, মাদারাসায় নির্যাতন করে তার ছেলেকে হত্যা করেছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের মহব্বতপুর কাঞ্চন মেম্বারের পোল সংলগ্ন তানজিরুল কোরআন সোবহানিয়া মাদরাসা থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত জিদান উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের মধ্য চর উরিয়া গ্রামের ফজল মিস্ত্রি বাড়ির ওমান প্রবাসী আমিরুল ইসলাম সোহেলের ছেলে এবং তানজিরুল কোরআন সোবহানিয়া মাদরাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র ছিল।
নিহতের মা সাবরিনা খাতুন জুমা জানান, তার এক ছেলে এক মেয়ে। বড় ছেলে জিদান তানজিরুল কোরআন সোবহানিয়া মাদরাসার হিফজ বিভাগে আবাসিকে থেকে পড়ালেখা করে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলের দিকে তার দাদা মো.নুরুল হক বাবুল তার নাতিকে দেখতে মাদরাসায় যায়। সেখানে তিনি দেখেন তার নাতির বমি পড়ে আছে মাদরাসার ফ্লোরে। তখন মাদরাসার মুতামিম আফজাল হোসাইন জিদানের দাদাকে জানায় আপনার নাতি পড়েলেখা পারেনা। এজন্য শাস্তি দিয়েছি, দেখেন।
সাবরিনা খাতুন জুমা অভিযোগ করে আরো বলেন, বুধবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে মাদরাসার মুতামিম ফোন করে আমাকে জানায় আপনারা দ্রুত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে যান। আপনার ছেলে মাদরাসায় গলায় ফাঁস দিয়েছে। জুমা অভিযোগ করে বলেন, মাদরাসার শিক্ষকরা আমার ছেলেকে হত্যা করে। এরপর ফাঁসির নাটক সাজায়। তারা আমার ছেলে এর আগেও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করেছে।
তানজিরুল কোরআন সোবহানিয়া মাদরাসার মুতামিম আফজাল হোসাইন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ওই ছাত্র বিকেলের দিকে মাদরাসার শৌচাগারে ঢুকে। ওই সময় আরো দুজন ছাত্র শৌচাগারে ঢুকতে অপেক্ষায় ছিল। সেখানে জিদান পায়জামার সঙ্গে থাকা নেয়ার (রশি) দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। তখন ওই ছাত্ররা শৌচাগারে ঢুকতে দরজ্জা ধাক্কাধাক্কি করলে দরজা খুলে যায়। পরে তারা জিদানের মরদেহ দেখে আমাদের জানায়।
৭ মাস আগে
বিগত সরকারের আমলে ঢাকা-নোয়াখালী রুটে বরাদ্দকৃত নতুন ট্রেন 'সুবর্ণচর এক্সপ্রেস' দ্রুত চালুর দাবিতে ঘন্টাব্যাপী রেলপথ অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্র-জনতা।
রোববার (৪ মে) সকাল ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত মাইজদী কোর্ট স্টেশনে সাধারণ জনগণের ব্যানারে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা রেললাইনে অবস্থান নেন। এতে ঢাকা-নোয়াখালী রুটে ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে থাকে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলার আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ২০২৩ সালে নোয়াখালী-ঢাকা রুটে 'সুবর্ণচর এক্সপ্রেস' নামে একটি নতুন আন্তঃনগর ট্রেন বরাদ্দ দেওয়া হলেও এখনও তা চালু হয়নি। এই রুটের যাত্রীরা প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ফলে বাস সিন্ডিকেট নানাভাবে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও রোগীদের জন্য নির্ভরযোগ্য ট্রেন সার্ভিস অত্যন্ত জরুরি।
অবরোধে অংশ নেওয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, আমরা বহুদিন ধরে এই ট্রেনের অপেক্ষায় আছি। অথচ কোনো অজানা কারণে ট্রেন চালু করা হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নেমেছি। ১০ দিনের মধ্যে কোনো আশ্বাস না পেলে আমাদের আন্দোলন আরও কঠোর হবে।
মাইজদী কোর্ট স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, সকাল ৬টায় নোয়াখালীর একমাত্র আন্তঃনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও অবরোধের কারণে ছেড়ে যায়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলে জানানো হয়েছে। পরে সকাল সাড়ে ৭টায় অবরোধ তুলে নিলে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে
৭ মাস আগে
বেনাপোল প্রতিনিধি
যশোরের শার্শায় ১০ টি স্বর্ণের বারসহ শুভ ঘোষ (৩৫) নামে এক পাচারকারীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। রবিবার (৪ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার বাঁগআচড়া পরিষদের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক শুভ ঘোষ মনিকগঞ্জের সুনীল ঘোষের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গোপন খবরের তারা জানতে পারেন মাদকের একটি চালান নিয়ে বাঁগআচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে একজন অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালিয়ে শুভ ঘোষ নামের একজনকে আটক করে। এসময় তার দেহ তল্লাশি করে প্যান্টের পকেট থেকে স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ১০ টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। স্বর্ণের বারগুলো সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে শুভ ঘোষ মনিকগঞ্জ থেকে বাঁগআচড়ায় আসে।
জব্দ করা স্বর্ণের ওজন এক কেজি ১৯২ গ্রাম। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি ২০ লাখ টাকা বলে জানায় পুলিশ।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, আটক স্বর্ণ পাচারকারীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। পরে তাকে যশোর আদালতে সোর্পদ করা হবে। এবং জব্দ স্বর্ণের বারগুলো যশোর ট্রেজারি শাখায় জমা দেওয়া হবে।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। লক্ষ্মীপুরের ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া হত্যা মামলায় দীর্ঘ ১১ বছর ধরে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
গ্রেপ্তার মো. জুলফিকার (২৮) লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার সৈয়দপুনর কাশেম ভূঁইয়ার বাড়ির নুরুল ইসলামের ছেলে।
গতকাল সোমবার (৫ মে) রাaতে সোনাইমুড়ী বাইপাস এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ২১ মে রাতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়াকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে জবাই করে হত্যা করা হয়। পরদিন তার মরদেহ বাড়ির পাশেই পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনার চার দিন পর নিহতের স্ত্রী অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, লক্ষ্মীপুর সদর থানায় মামলার তদন্ত শেষে জেলা গোয়েন্দা শাখা আটজন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানির পর ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি আদালত তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। মো. জুলফিকার ছিলেন ওই মামলার একজন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ৫ মে রাত ৮টার দিকে র্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর সদস্যরা নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী বাইপাস সড়ক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন। পরে আসামিকে লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়
৭ মাস আগে
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৭ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন যুবদলের নেতা গোলাপ হোসেনের উপর সন্ত্রাসী হামলার গুরুতর ঘটনা ঘটেছে,
০৪মে সকাল আটটায় গোলাপ হোসেন মোটরসাইকেল নিয়ে ভাড়ি থেকে বাহির হয়ে বাজারের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় উত্তর মোহাম্মদ পুর আকরাম উদ্দিন ফরাজি বাড়ির সামনে ওতপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা গোলাপের রাস্তা রোধ করে হকিস্টিক দিয়ে হামলা করে অর্ধ লাশ বানিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় পালিয়ে যায়, উপস্থিত স্থানীয় লোকজন তাকে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়, কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০শয্যা সদর হাসপাতালে রেফার করেন,আহতের ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে সন্ত্রাসী হামলার ন্যায় বিচার পেতে আহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার (৩০)বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় একটি লিখত অভিযোগ করেন।
আসামিরা হলেন
১| সোহেল (২৮)
২|রফিক (৩২)পিতা. শফিক উল্লাহ,
৩| রাব্বি(১৬)
পিতা.রফিক,
৪| শফিক (৬৫)
পিতা.অজ্ঞাত সর্ব সাং উত্তর মোহাম্মদ পুর, সেনবাগ,
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় আসামিদের সাথে যুবদল নেতাদের পূর্বের জমি জমা সংক্রান্ত ঝামেলা ছিলো, আসামিরা জোর করে গোলাপ হোসেনদের বেশ কিছু সম্পদ ভোগদখল করে আসছে,আদালতের রায় পেলেও সম্পদ অন্যের দখলে, আহত গোলাপ হোসেন উত্তর মোহাম্মদ পুর কলিমউদ্দিন ভূইয়া বাড়ীর আবদুল হাকিমের ছেলে,
সেনবাগ থানার তদন্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন জানিয়েছেন গোলাপ হোসেনের সাথে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় উনার স্ত্রী শারমিন আক্তার বাদী হয়ে অভিযোগ করেছেন তদন্তের মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যশোরের শার্শার আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সাতজন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ। সোমবার (৫ মে) সকালে তাঁদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঝিকারগাছা থানার ভারপ্রিাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান।
এর আগে রবিবার (৪ মে) রাত ১০ টার দিকে উপজেলার পারবাজার এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- যশোরের শার্শা উপজেলার তিন নম্বর বাহাদুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান (৬৫), একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সহ-সভাপতি বেনাপোল পোর্ট থানার নটাদিঘা গ্রামের মুকুল হোসেন (৪৪), শার্শা উপজেলা যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য চটকাপোতা গ্রামের সাহেব আলী (৫৫) একই উপজেলা যুবলীগের সদস্য পান্তাপাড়া গ্রামের মহিউদ্দিন আলম তোতা মেম্বার (৪০), শার্শা ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গাতিপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেক মেম্বার (৫৪) শার্শা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য শার্শার কাজী আক্তারুজ্জামান মাখন (৫৪), শার্শা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ -সভাপতি শার্শা মধ্যপাড়া গ্রামের হায়দার আলী (৩৭)।
পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে গোপন সংবাদে তারা জানতে পারেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সাতজন নেতা ঝিকরগাছা পারবাজার এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। এছাড়া গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন হওয়ার পর গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
ওসি বাবলুর রহমান খান জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ একাধিক মামলা থাকায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার দুপুরে তাঁদেরকে যশোর আদালতে পাঠানো হবে।
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিচ্ছু সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর জন্য রাতে থাকা ও খাবারের ব্যবস্থা করেছে নোয়াখালী জেলা, নোবিপ্রবি, সদর উপজেলা, পৌরসভা, নোয়াখালী সরকারি কলেজ ও সোনাপুর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (৯ মে) সকাল ১১টায় নোবিপ্রবি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ৩য় ধাপে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আলাদা থাকার ব্যবস্থা ও রাতে খাবারের ব্যবস্থা করে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।
এছাড়া, শুক্রবার সকালে জেলা শহরের বিভিন্ন ফটকে সারাদেশ থেকে আগত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সুবিধার্থে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে।
হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাগ ও মোবাইল সংরক্ষণ, তথ্য প্রদান, পানি বিতরণ, মোটরসাইকেল যোগে শিক্ষার্থীদের নিরাপদে নোবিপ্রবি'তে পৌঁছে দেওয়া’সহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরের সার্বিক সহযোগিতা ও নির্দেশনায় দলটির নেতাকর্মীরা এই আয়োজন করে।
আবাসন ও খাবার কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদপ্রার্থী এনবিএস রাসেল, আনোয়ার হোসেন রকি, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জিয়াউর রহমান রাযহান, আশ্রাফুল করিম পাবেল, সজিব রহমান সজিব, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য সচিব শাহরাজ উদ্দিন জিহান, ছাত্রদল নেতা মো. জাহিদ হাসান, নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম সোহাগ, সাফায়েত হোসেন নাবিল,
সোনাপুর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের গিয়াস উদ্দিন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন রুবেল প্রমূখ।
এরআগে, নোবিপ্রবি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ১ম ও ২য় ধাপের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই দুই ধাপের পরীক্ষায়ও শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সুবিধার্থে হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে সেবা প্রদান করা হয়।
৭ মাস আগে
নোয়াখালী জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের নির্বাচনে অ্যাডভোকেট আবদুল হক সভাপতি ও অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
রোববার (১১ মে) বেলা ১১ টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত নোয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির হলরুমে এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত দুটি প্যানেল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন।
সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আবদুল হক পেয়েছেন ১৭০ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বি.ইউ.এম কামরুল ইসলাম পেয়েছেন ৬৯ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ পেয়েছেন ১৭৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একেএম বেলায়েত হোসেন পেয়েছেন ৬৪ ভোট।
এদিকে সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে কাজী কবির আহমেদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে এবিএম মাজেদ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আশরাফুল মায়মুন বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিনিয়র আইনজীবি শামছুদ্দিন আহমেদ ও অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদসহ পাঁচজন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ফলাফল ঘোষণার পর নোয়াখালী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া, সদস্য সচিব হারুনুর রশীদ আজাদ, বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাখ্যা চন্দ্র দাস, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানসহ বিভিন্ন আইনজীবি ও রাজনৈতিক নেতাকর্মিরা বিজয়ীদের ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে অভিনন্দন জানান।
উল্লেখ্য, নির্বাচনে ২৮০ জন ভোটারের মধ্যে ২৩৯ জন সদস্য তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে।
৭ মাস আগে
আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ঘোষণার পর নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল শনিবার (১০ মে) রাত সাড়ে ১১ দিকে নোয়াখালী পৌরসভার জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের বাড়িতে ওই হামলা চালানো হয়। ৫ আগস্ট পরবর্তী নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু আত্মগোপনে রয়েছেন।
আবদুল ওয়াদুদের পরিবারের সদস্যরা জানায়, রাত সাড়ে ১১টার দিকে ৭০ থেকে ৮০টি মোটরসাইকেল তাদের বাড়িতে ঢোকে। প্রতিটি মোটরসাইকেলে দুই তিনজন করে ছিল। তিনি কিছু বুঝে উঠার আগেই ওই ব্যক্তিরা বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় তারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে একটি কক্ষে ঢুকে আশ্রয় নেন এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে ফোন করেন।
ওয়াদুদের স্ত্রী সাবরিনা মাহজাবিন জয়ন্তী অভিযোগ করে বলেন, হামলাকারীরা বাড়ির নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায় প্রতিটি কক্ষে হামলা ভাঙচুর ও মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তারা বাড়ির সামনে রাখা তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে নিচ তলায় আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে এই তান্ডব চালানো হয়। তাদের বাড়ির ভাড়াটিয়াদের ঘরেও হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা চলে গেলে চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে আগুন নেভান।
জয়ন্তী আরো জানান, হামলাকারীদের কাউকে তিনি চিনতে পারেননি। তবে তারা হামলার শুরুতে জিয়ার সৈনিক শ্লোগান দিয়েছিল। হামলা-ভাঙচুর করে তারা চলে যাওয়ার পর পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিদর্শন করে গেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো বলেন,আপনারা নিশ্চিত থাকেন এ হামলা-ভাংচুর বিএনপির কেউ করে নাই। আমাদের দল এ রকম হামলার সমর্থন করেনা। এটা অন্যান্য কেউ হোতে পারে। এমন হয়ে থাকলে আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, হামলকারীরা গ্লাস ভাংচুর করে। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থল পরিবদর্শন করে। তবে এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।
৭ মাস আগে
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ড কেগনায় সরকারি বাস্তহারা প্রকল্পের মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১২ মে) সকালে জেলা শহর মাইজদীর ইউরো শপিং কমপ্লেক্সে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী হেদায়েত উল্যাহ ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় মাটি মতিন ও হাসেম আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার বসতঘরসহ আশেপাশের জায়গার মাটি জোর করে কেটে নিয়ে যায়। এতে আমার ঘর যে কোন সময় ধসে পড়তে পারে। তিনি প্রশাসনের কাছে মাটি খেকোদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, প্রতিবেশী আবু তালেব, মো.স্বপন, আব্দর রহিম।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাছরিন আক্তার বলেন, কেগনা আশ্রয়ণটা হচ্ছে সরকারি খাস জমি। আশ্রয়ণ প্রকল্পটা যেখানে হয়েছে সেখানে একটি পুকুর আছে। পাশে ছোট একটি পরিবার থাকে। ওখানে কিছু খালি খাস জায়গা আছে। ওই জায়গার মাটি থেকে নিয়ে আমরা পরিবার গুলোর জন্য কবরস্থান ও শ্মশান নির্মাণ করতেছি।
ইউএনও আরো বলেন, সরকারি খাস জমির মাটি সরকারি খাস জমিতে ফেলে খবরস্থান এবং শ্মশান বানানো হচ্ছে। যিনি সংবাদ সম্মেলন করেছে তিনি নিজেই কেগনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের সেখানে একটি দোকান ঘর নিয়ে দোকানদারি করেন। তিনি নিজেই সেখানে অবৈধ ভাবে থাকতেছেন। সংবাদ সম্মেলন কিজন্য করেছেন আমি জানিনা। আব্দুল মতিন এটার সাথে জড়িত নেই। এটা পিআইওর একটা প্রকল্প দিয়ে কাজটা করা হচ্ছে। ওকে আমি তুলে দিবো। ওখানে সে অবৈধ ভাবে দোকানদারি করতেছে।
৭ মাস আগে
বাংলাদেশে সাম্যবাদী আন্দোলন নোয়াখালী জেলা শাখার অফিস দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধনের প্রস্তুতিকালে বিএনপির নেতাকর্মিরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা তারকেশ্বর দেবনাথসহ অন্তত ৫জন আহত হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) সকাল সোয়া ১০টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর শিল্পকলা এ্যাকাডেমি সংলগ্ন সড়কের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হারুনুর রশিদ আজাদের বড় ভাই জেলা বিএনপির সদস্য আবদুল মোতালেব আপেলের নির্দেশে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করে সাম্যবাদী দলের হামলার শিকার নেতৃবৃন্দ।
আহতরা হচ্ছেন, সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা তারকেশ্বর দেবনাথ, সদস্য চৌধুরী, আমেনা বেগম, মো. সেলিম ও অভি চক্রবর্তী। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহত অভি চক্রবর্তী অভিযোগ করে বলেন, গত ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় জেলা শহর মাইজদী টাউন হল মোড়ে সমবায় ব্যাংক মার্কেটে তাদের সাম্যবাদী আন্দোলনের অফিসে তালা দেয় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হারুনুর রশিদ আজাদের বড় ভাই জেলা বিএনপির সদস্য আপেল ও তার লোকজন। তারপর থেকে তারা অফিসে যেতে পারছে না। এর প্রতিবাদে সোমবার ১০টা থেকে সাম্যবাদী আন্দোলনের নেতাকর্মিরা নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়। পরে সেখান থেকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনে অংশ নিতে যাওয়ার পথে শিল্পকলা একাডেমি সংলগ্ন বিএনপি নেতা আপেলের লোকজন সাম্যবাদী আন্দোলনের নেতাকর্মিদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাদের লাঠির আঘাতে সাম্যবাদীর জেলা সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা তারকেশ্বর দেবনাথ নান্টুসহ অন্তত পক্ষে ৫জন আহত হয়েছে। এক পর্যায়ে তারা সাম্যবাদী আন্দোলনের নেতাকর্মিদের কাছ থেকে ব্যানার, পেস্টুন কেড়ে নিয়ে যায়। তারা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আশ্রয় নিলে সেখানেও হামলার চেষ্টা চালায়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সদস্য আবদুল মোতালেব আপেল অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, যে দিন সাম্যবাদী দলের অফিসে তালা দেওয়া হয় তখন আমি ঢাকায় ছিলাম। সকালে সাম্যবাদী দলের লোকজনের ওপর হামলা হয়। ওই সময় আমি ঘুমে ছিলাম। সমবায় অধিদপ্তরের একটি দোকান দখল করতে চাইছে। ওদের কোন কাগজপত্র নেই। সমবায়েরে লোকজন এটা বাধা দিছে। সেখানে কি হয়েছে, আমি কোনটাই দেখেনি, শুনেছি।
হারুনুর রশিদ আজাদের মুঠোফোনে একাধিক কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৭ মাস আগে
বেনাপোল প্রতিনিধি
যশোরের ঝিকরগাছায় পুকুরের পানিতে ডুবে মারিয়া (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার
(১২ মে) দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের সদিরআলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু মারিয়া ওই গ্রামের আরশাদ আলীর মেয়ে।
মারিয়ার বাবা আরশাদ আলী জানান, আজ দুপুরে শিশুটির মা ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় সে
বাইরে খেলছিল। কিছুক্ষণ পর মারিয়াকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুর“ করেন তার মা ও বাড়ির
লোকজন। কোথাও না পেয়ে বাড়ির পাশে পুকুরে মারিয়াকে ভাসতে দেখেন তার খালা। পরে তাকে উদ্ধার করে
ঝিকরগাছা উপজেলা স্বা¯’্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা
করেন।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর বারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সাড়ে ৩ বছর পর আদালত চেয়ারম্যান হিসেবে ৪৬৬ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করেন অধ্যক্ষ মাওলানা সাইয়েদ আহমদকে। তিনি জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও নোয়াখালী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির।
বুধবার (১৪ মে) দুপুরে নোয়াখালী জেলা দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ দেওয়ান মনিরুজ্জামান এ রায় দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি সোনাইমুড়ী উপজেলার বারগাঁও ইউনিয়নে চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন জামায়াত নেতা মাওলানা সাইয়েদ আহমদ। ফলাফলে তিনি জয়লাভ করেন তবে উপজেলায় ফলাফলের কাগজপত্রে গোজামিল করে ফলাফল পাল্টে দেওয়া হয়। এরপর তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সামছুল আলমকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়।
অধ্যক্ষ মাওলানা সাইয়েদ আহমদ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার সাড়ে তিন বছর আগে জনগণের রায় ছিনিয়ে নিয়েছিল। আজ আদালত সেই রায় ফিরিয়ে দিয়েছেন। কাশীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফলাফল টেম্পার করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করে। অথচ কেন্দ্রীয় ফলাফলে স্পষ্ট আমি জয়ী ছিলাম।
তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, উপজেলা পরিষদে ফলাফলের টেম্পারিং হয়েছে। সেখানে আমাকে ১১ ভোটে হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এটি জনগণের বিজয়। আমার ইউনিয়নের বাসিন্দারা বঞ্চিত হয়েছেন, তাই আমি শুরুতেই নির্বাচন ট্রাইবুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেছিলাম। আজ আল্লাহর রহমতে জয় পেয়েছি।
কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও নোয়াখালী জেলা জামায়াতের আমীর ইসহাক খন্দকার, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা বোরহান উদ্দিন, সোনাইমুড়ী উপজেলা আমীর ও চাষীরহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হানিফ মোল্লা বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানান।
৬ মাস আগে
বেনাপোল প্রতিনিধি
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভেঙে দুই ভাগ করে জারি করা অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আজ বুধবার
(১৪ মে) বেনাপোল কাস্টমস হাউসে কলম বিরতি শুরু করেছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সকাল ১০টা থেকে
দুপুর ১টা পর্যন্ত এ কলম বিরতি চলবে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ মে) আগারগাঁও এনবিআরের সামনে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে
অবস্থান কর্মসূচি থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তিনদিনের কলম বিরতির ঘোষণা দেন। দাবি আদায় না
হলে ১৭ মে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে তারা ঘোষণা দেন।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান,
বেনাপোল কাস্টম হাউসে কর্তকর্তা-কর্মচারীরা কলম বিরতি শুরু করায় স্থবির হয়ে পড়েছে দু-দেশের মধ্যে
আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। যে কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ও পণ্য খালাস বন্ধ
রয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার মো. রাজন হোসেন জানান, আমরা কলম বিরতি শুরু করেছি।
সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা সকাল পর্যন্ত চলবে এ কলম বিরতি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত
আমাদের কর্মসূচি চলবে।
নোয়াখালীর মাইজদীতে বিয়ের আসর থেকে বরসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের দাবি, তাদেরকে আটক নয়, উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ সময় মারামারিতে বর-কনে পক্ষের অন্তত ৫জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে জেলা শহর মাইজদীর মেহেরান ডাইন রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বরের নাম ইকবাল হোসেন (৩৬)। অপরদিকে, কনে অনার্স পড়ুয়া। কয়েক বছর আগে তার বাবা মারা যায়। তার বাড়ি জেলার কবিরহাটে। মামারা এই বিয়ের আয়োজন করে। বর একজন ড্রাগ অফিসে ড্রাগ সুপার। তিনি নোয়াখালীতে চাকরি করেন। তার গ্রামের বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞাতে।
কনের মামা মো. হিরণ অভিযোগ করে বলেন,গত শুক্রবার ৯ মে আমার ভাগ্নির বিয়ের এনগেজমেন্ট হয় পাশ্ববর্তী ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার বাসিন্দা ইকবাল হোসেনের সাথে। এরপর বৃহস্পতিবার ১৫ মে দিবাগত রাতে বর পক্ষ কনের বাড়িতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। পরের দিন শুক্রবার ১১ লক্ষ এক টাকা দেনমোহরে বিয়ের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিয়ের দিন দুপুর ১২টার দিকে বর ফোন করে জানায় তিনি আসবেন না। কনে পক্ষ না আসার কারণ জানতে চায়। ওই সময় বর ৫০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। এরপর বিয়ের দিন ছেলে বর সেজে না এসে সাধারণ পোশাকে রেস্টুরেন্টে এসে একটি কক্ষে আত্মগোপনে থাকে। সেখান থেকে বর বলে তাড়াতাড়ি আমার লোকজনকে খাবার দিয়ে দেন, না হলে সমস্যা হবে। এরপর বর আস্তে পালিয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কনে পক্ষ ৩০০জন মানুষের জন্য মেহরান ডাইনে খাবারের আয়োজন করে। বর পক্ষের লোকজনকে খাবার দেওয়া হয়। একপর্যায়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার জন্য প্রস্তুতি নিলে বরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে বরকে একটি রুমে পাওয়া যায়। বর এসে কনের মামাদের কাছে ৫০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে বর উঠে এসে পালিয়ে যায়। বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেই। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে বরের পক্ষের লোকজন এসে কনের লোকজনের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে কনে পক্ষের লোকজন ও স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে বরসহ দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বরের ভাই সোহরাব হোসেন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, মেয়েদের পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে আমার ভাই একটি রুমে গিয়েছিল। তিনি পালিয়ে যায়নি এবং ৫০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেনি। এখন তারা আমাদের বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ দিচ্ছে। আমার ভাই একজন ড্রাগ সুপার।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা হচ্ছে। তবে যৌতুক দাবির অভিযোগ সত্য না। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ সংবাদ পেয়ে বরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
৬ মাস আগে
মোঃরিয়াজুল সোহাগ, জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালীঃ
নোয়াখালীতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন "নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম" (৮ম পর্যায়) প্রকল্প দ্রুত অনুমোদন এবং ঈদের আগে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন,
শনিবার (১৭ মে) সকাল ১১টা থেকে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রকল্পের শিক্ষক, কেয়ারটেকার ও কর্মকর্তা কর্মচারীগণ ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে দাবি আদায়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন "নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পটি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাস্তবায়ন করে আসছে। প্রকল্পটি ১৯৯৩ সাল থেকে শুরু হয়ে ধারাবাহিকভাবে গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে ৭ম পর্যায় সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে। এরপর চলতি বছরের ১ জানিুয়ারি থেকে প্রকল্পের শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার লক্ষ্যে সরকারি অর্থায়নে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই ও শিক্ষা সহায়ক উপকরণ মুদ্রণ ও সরবরাহ করা হয় এবং কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় আলোকে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
গত ১৯ আগস্ট অন্তবর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা প্রকল্পের বিদ্যমান জনবলকে রাজস্বখাতে স্থানান্তরের আশ্বাস দেন। কিন্তু সেই আশ্বাসের কোন অগ্রগতি নেই। গত ১৪ মে পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভায় ৫ মাসের বেতন ভাতা বাদ দিয়ে প্রকল্প অনুমোদনের তারিখ থেকে বেতন-ভাতা প্রদানের বিষয়ে আলোচনা হয়। এতে প্রকল্পের ৮৪ হাজার শিক্ষক, কোয়ারটেকার, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। গত ঈদুল ফিতরেও প্রকল্পের শিক্ষক, কোয়ারটেকাগণ বেতন-ভাতা পাননি। বেতন ভাতা না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে সবাই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পবিত্র ঈদুল আজহার পূর্বে বেতন-ভাতা প্রদান করা না হলে সারাদেশে সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন হবে।
স্মারকলিপিতে জানুয়ারি-২০২৫ হতে প্রকল্প অনুমোদন এবং ঈদুল আজহার পূর্বেই বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ; প্রকল্পের ৩য় থেকে ৭ম পর্যায় পর্যন্ত কর্মরত বিদ্যমান জনবলকে রাজস্ব খাতভূক্ত করা; ৭ম পর্যায় প্রকল্পের বিদ্যমান জনবলকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৮ম পর্যায় প্রকল্পে স্থানান্তর করা; কেয়ারটেকার ও কর্মীদেরকে স্কেলভূক্ত করা এবং শিক্ষকদের সম্মানী-ভাতা বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়।
বেনাপোল প্রতিনিধি
বেনাপোল সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ২০১.৫ কেজি ওজন চার বস্তা ভায়াগ্রা পাউডারের একটি
চালান জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড
বাংলাদেশ (বিজিবি)। জব্দকৃত ভায়াগ্রা পাউডারের আনুমানিক মূল্য ৬০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা হাজার
টাকা।
শনিবার (১৭ মে) দুপুরে বেনাপোল বাজারের এসএ পরিবহণের সামনে পাকা রাস্তার ওপর থেকে ভায়াগ্রার এ
চালানটি জব্দ করা হয়।
বিজিবি জানায়, চোরাকারবারিরা ভ্যানযোগে ভায়াগ্রা পাউডারের বড় একটি চালান নিয়ে এসএ
পরিবহণের সামনে পাকা রাস্তার ওপর আসে। এসময় বিজিবির দহলদলের উপ¯ি’তি টের চারটি বস্তা ফেলে
পালিয়ে যায় চোরাকারবারিরা। পরে ভায়াগ্রা পাউডারের বস্তাগুলি জব্দ করা হয়। তবে ভায়াগ্রার চালানটি
পাচারের উদ্দেশ্যে এসএ পরিবহণের সামনে আনেন চোরাকারবারিরা।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে: কর্ণেল সাইফুল্লাহ্ধসঢ়; সিদ্দিকী জানান,
মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান রোধে সীমান্তে বিজিবির গোয়েন্দা ও টহল জোরদার করা হয়েছে। তাদের এই
অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রেরক: মহসিন আলী। বেনাপোল প্রতিনিধি।
নোয়াখালী সদর উপজেলায় অপহরণের ২১দিন পরও ২ বোনকে উদ্ধার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবার।
শনিবার (১৭ মে) দুপুরের দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, গতকাল শুক্রবার এ ঘটনায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় মামলা নেওয়া হয়েছে। এর আগে, গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নের রামানন্দী গ্রামের ফয়েজ মিস্ত্রি বাড়ি থেকে অপহরণের শিকার হন দুই বোন।
অপহৃতরা হলেন, এসএসসি পরীক্ষার্থী তাহরিম হারুন ফালাহ (১৫) ও তার ছোট বোন তাছনুবা হারুন তাহা (১২)।
ভুক্তভোগী দুই স্কুল ছাত্রীর মা ফরিদা আক্তার জানান, তার বড় মেয়ে তাহরিম হারুন ফালাহ পানা মিয়া টি.এফ উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও ছোট মেয়ে তাছনুবা হারুন তাহা স্থানীয় খাদিজাতুল কোবরা মহিলা মাদরাসার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। বড় মেয়ে তাহরিম হারুন ফালাহ বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে উপজেলার চর বাঞ্চারাম গ্রামের ওমর ফারুকের ছেলে সাজ্জাদুর রহমান শাওন তার মেয়েকে দীর্ঘদিন যাবৎ উত্যক্ত করে আসছে। বিষয়টি তিনি শাওনের দাদা, নানা ও পরিবারের সদস্যদের অবগত করলেও তারা কোন শাসন কিংবা ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এতে শাওন আরো ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে।
তিনি আরো জানান, গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় আমি ঘরের বাহিরে অবস্থানের সুযোগে পূর্বের ঘটনার জের ধরে শাওন ও তার সহপাঠিরা আমার ঘরে ডুকে দুই মেয়ে তাহরিম হারুন ফালাহ ও তাছনুবা হারুন তাহাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে বহু জায়গায় খোঁজাখুজি করে তাদেরকে না পেয়ে শাওনের পরিবারকে বিষয়টি অবগত করলে তারা এই বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান।
ভিকটিমদের মামা ওয়াহিদুর রহমান অপু বলেন, গত ২১দিন ধরে আমার দুটি ভাগ্নি অপহৃত অবস্থায় রয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ করার পরও পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করতে পারেনি। এই নিয়ে একাধিকবার পুলিশ অভিযুক্ত সাজ্জাদুর রহমান শাওনের পরিবারের সঙ্গে থানায় বৈঠকও করেছে। কিন্তু কোন সন্ধান বের করতে পারেনি। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শাওনের পরিবারকে নিয়ে থানায় বৈঠক করলেও আমার ভাগ্নিদের কোন তথ্য না পাওয়ায় থানা পুলিশ আমার বড়বোন ফরিদা আক্তার থেকে এজাহার গ্রহণ করার পর অভিযুক্ত সাজ্জাদুর রহমান শাওনকে গ্রেপ্তার করে।
অপহৃত ছাত্রীদের বাবা হারুন অর রশিদ বলেন, আমার বড় মেয়ে ফালাহ এসএসসি পরীক্ষার ৬টি বিষয় শেষ করে। ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় পড়ার টেবিলে পরের দিনের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ফালাহ। ওই সময় বখাটে শাওন ও তার সহপাঠীরা আমার বড় মেয়ের সঙ্গে সঙ্গে ছোট মেয়েকেও অপহরণ করে নিয়ে যায়। জানি না আমার মেয়েরা কোথায় আছে, কেমন আছে। এখন তথ্য-প্রযুক্তির যুগ, কিন্তু ঘটনার ২১দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনো আমার মেয়েদের উদ্ধার করতে পারেনি। আমি আমার মেয়েদের সন্ধান চাই।
সুধারাম মডেল থানার এসআই ফখরুল ইসলাম আরো বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাজ্জাদুর রহমান শাওন (২০) নামে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোয়াখালীর সেনবাগ পৌরসভার উত্তর অর্জুনতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা ২০২৫ এর পুরষ্কার বিতরণ ও মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ( ১৭ মে ) বেলা ১১টায় নোয়াখালীর সেনবাগ পৌরসভার উত্তর অর্জুনতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা ২০২৫ এর পুরষ্কার বিতরণ ও মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আলী আজগর এর সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন, সহকারী শিক্ষক মো: নূর হোসাইন সুমন।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, এস এফ গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান, ছিলোনিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য সৈয়দা সাজেদা রশিদ (শেলী)।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট ব্যারিস্টার ফাহমিদা আখতার, সেনবাগ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনোয়ার পারভেজ, সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ও মায়া প্রাইভেট হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী আলা উদ্দিন আলো।
এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র এডভোকেট আক্তার হোসেন মজুমদার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকেয়া বেগম।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও সেনবাগ পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র সাখাওয়াত হোসেন সেলিম,বিদ্যালয়ের কমিটির উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিনিধি সদস্য বকুল আলম মুন্না,সোয়াইফ উদ্দিন শামিম,আহমেদ জাবের সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বৃন্দ।
পরে অতিথি বৃন্দ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন।
বেনাপোল প্রতিনিধি
ভারত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লবন্দরগুলো দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য প্রবেশে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে তৈরি পোশাকসহ একাধিক পণ্যের রপ্তানি কার্যত বন্ধ হয়ে যা”েছ। এর প্রভাব পড়েছে দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল ¯’লবন্দরে। এ বন্দর দিয়ে গার্মেন্টস পণ্যবোঝাই ৩৬টি বাংলাদেশি ট্রাক ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
রবিবার (১৮ মে) পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলো বন্দরে আটকে থাকতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক
চক্রবর্তী বলেন- বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েকটি পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর (ডিজিএফটি)। যেসব রেডিমেড পোশাক ¯’লবন্দর হয়ে আসতো। এখন থেকে সেসব পণ্য কলকাতা সামুদ্রিক বন্দর এবং মুম্বাইয়ের নাভা শেভা বন্দর দিয়ে আনতে হবে। এছাড়া যথারীতি যা আছে তাই থাকবে। তবে যে সকল পণ্যের এলসি/টিটি হয়েছে সেগুলো যাতে আমদানি করা যায় সেজন্য কাস্টমসে আলোচনা চলছে। বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন জানান, ভারত সরকার ¯’লবন্দর দিয়ে গার্মেন্টস সামগ্রী আমদানি নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বেনাপোল ¯’লবন্দরে ৩৬টি গার্মেন্টস পণ্যবাহী ট্রাক ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে ভারত সরকারের এই নিষেধাজ্ঞার ফলে বাণিজ্যিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ¯’লবন্দরের রপ্তানির সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা। বেনাপোল বন্দরের ডেপুটি ডিরেক্টর মামুন কবীর তরফদার বলেন- ভারত সরকার বাংলাদেশি বেশ কিছু পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বেনাপোল বন্দরে আটকে আছে ৩৬ টি গার্মেন্টস পণ্যবোঝাই ট্রাক। হঠাৎ করে এ ধরণের নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বিপাকে পড়েছে রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃকপক্ষকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তারা ভাবছেন।
বেনাপোল প্রতিনিধি
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিল করার দাবিতে বেনাপোল কাস্টম হাউসে চতুর্থ দিনের কলমবিরতি কর্মসূচি শুর“ করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।রবিবার (১৮ মে) সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টা চলবে এ কলমবিরতি। এর আগে একই দাবিতে গত ১৪, ১৫ ও ১৭ মে কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করেন বেনাপোল কাস্টম হাউসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তিন দিনের কলম বিরতির শেষদিন ছিল শনিবার (১৭ মে)। তবে এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিল না করায় গতকাল শনিবার (১৭ মে) বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের পক্ষে ফের রবিবার (১৮ মে) সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কলম
বিরতির ঘোষণা দেন উপ-কর কমিশনার নিপুন চাকমা। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, কলমবিরতিতে ¯’বির হয়ে পড়েছে দু-দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। এতে রাজস্ব আদায় ও সেবা কার্যক্রম ¯’বির হয়ে পড়েছে। যে কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ও পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। তিনি আরও জানান, সকাল থেকে ভারত থেকে কোন পণ্য চালান বেনাপোল বন্দরের প্রবেশ করেনি। বেনাপোল কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ জানান, আমরা চতুর্থ দিনের কলমবিরতি শুর“ করেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই কর্মসূচি চলবে।
বেনাপোলে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের চাপায় ওমর ফার“ক (১০) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। সোমবার (১৯
মে) দুপুরে বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালীর কৃষ্ণপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু ওই এলাকার আব্দুল্লাহ মণ্ডলের ছেলে।
¯’ানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত ওমর ফার“ক দুপুরে নানা বাড়ি বেনাপোলের শিকড়ি থেকে
বাইসাইকেল চালিয়ে তার নিজ বাড়ী কৃষ্ণপুর যা”িছল। পথিমধ্যে মহিষাডাঙ্গা কালাম দারোগার বাড়ীর
সামনে পৌছালে পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাটি
বহনকারী ট্রাক্টর বাইসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে ওমর ফার“ক ছিটকে পড়ে গিয়ে ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে
ঘটনা¯’লেই তার মৃত্যু হয়।
বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাসেল মিয়া জানান, নিহতের বাবা থানায় একটি
লিখিত আবেদন দিয়েছেন তার ছেলের অসর্কতায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর জন্য ট্রাক্টর চালক দায়ি নয়।
তবে, পুলিশ সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করছে।
ভারতে পালানোর সময় কেন্দ্রীয় এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ। তার
নাম জামিল আহম্মেদ (৪২)। সোমবার (১৯ মে) সকাল ১১ টার দিকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে তাকে
গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জামিল আহম্মেদ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের জয়নাল আহম্মেদের ছেলে। তিনি কেন্দ্রীয়
যুবলীগের সহ-সম্পাদক। তার বির“দ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় বিস্ফোরক মামলা রয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম আহম্মেদ জানান, তাদের কাছে
গোপন খবর ছিল বিস্ফোরক মামলার এক আসামি যুবলীগের এক কেন্দ্রীয় নেতা বেনাপোল দিয়ে ভারতে
পালিয়ে যাবে। এমন খবরে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে নজরদারি বাড়ানো হয়। এসময় ওই যুবলীগ নেতা
পাসপোর্টে এক্সিট সিল মারার জন্য ইমিগ্রেশন অফিসারের ডেস্কে গেলে অনলাইনে তার পাসপোর্টে স্টপ
লিস্ট থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-
সম্পাদক। এছাড়া তিনি বিস্ফোরক মামলার আসামি। তাকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা
হয়েছে। পরে সেখান থেকে তাকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবে
পোর্ট থানার পুলিশ।