নোয়াখালীতে সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক বসতঘর ভাংচুর ভূমি অফিসের রায় পেলেন ভুক্তভোগীরা
নোয়াখালীতে সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক বসতঘর ভাংচুর ভূমি অফিসের রায় পেলেন ভুক্তভোগীরা

মোঃ রিয়াজুল সোহাগ, জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী
নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌর এলাকায় জমিজমা সংক্রান্ত বিভেদের জেরে সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক বসতঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ঘরের ভেতরে থাকা ব্যক্তিদের মারধর করা হয় ঘটনার পরপরই যৌথবাহিনী উপস্থিত হয়। আতঙ্ক ছড়াতে পটকা ফোটানো হয়।
ঘটনাটি ঘটে ছিল সোমবার ২৫ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাত ১২টার সময় পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পোল নাপিতের বাড়ি এলাকায়, মুন্সী সুলতান আহমদ গংদের বসত ঘরে মৃত সুলতান আহমদের ওয়ারিশ ফিরদউস বেগম বলেন আমরা যখন নাবালক ছিলাম আমার দাদা এক হিন্দু ধর্মের ব্যাক্তি থেকে আদালতের মাধ্যমে রেজিষ্টি দলিল মূলে১৯৬২সালে মালিক হয়,এর পর থেকে ওখানে তরিক উল্লা নামে পরিচিত এক ব্যাক্তিকে থাকতে দেন, এবং তার কয়েক বছর পর মুন্সী সুলতান আহমদ মারা যান পরবর্তীতে তরিক উল্লা নিজের নামে সম্পত্তির রেকর্ড করে নেয় এবং বেচা বিক্রি করতে থাকে, আমরা যখন বুঝতে শিখি এবং জানতে পারি আমাদের ওয়ারিশিয়ান ভূমির খবর নিতে গিয়ে এবং চৌমুহনী পৌর ভূমি অফিস আবেদন করি এবং তল্লাশি করে দেখি আমার দাদার ক্রয় করা২১৬শতাংশ সম্পত্তি তরিক উল্লার ছেলে আহছানউল্লা গংদের নামে খতিয়ান ভুক্ত হয়ে আছে, তখন আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভূমি কর্মকর্তা আমাদের সম্পত্তির কিছু অংশ যাহা সরকারি খতিয়ান ভুক্ত হয়েছে তার ১০শতাংশ ভূমি আমাদের নামে নাম জারি খতিয়ান ভুক্ত করে দেন এবং আমরা উক্ত নাম জারি খতিয়ান ভুক্ত জায়গায় ঘর তুলে বসত শুরু করি কয়েক দিন পরে একদল সন্ত্রাসী ইলিয়াসের নেতৃত্বে ভাংচুর করে এবং ঘরের ভিতরে থাকা ব্যাক্তিদের মারধর করে টাকা পয়সা মোবাইল সহ ১০ লক্ষ টাকার জিনিস লুটপাট করে নিয়ে যায়,
সন্ত্রাসীরা বসতঘরের টিন কুপিয়ে ভাংচুর করে, বিদ্যুৎতের মিটার ভাংচুর করে পাশ্ববর্তী পুকুরে ফেলে দেয়। হামলায় আহত তিনজনের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হলে বেগমগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।
এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। তারা নিজেদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার জন্য প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেছেন।
চৌমুহনী পৌর তহসিলদার ফিরোজ আলম জানিয়েছেন সুলতান আহমদের দলিল সঠিক কিন্তু এ দলিলের সম্পত্তি গুলো খোঁজখবর না নেওয়ার কারনে অন্য নামে রেকর্ড হয়ে আছে তা আদালতের মাধ্যমে সংশোধন করতে হবে একই দাগের অর্থাৎ (২৬৩/১০১) সামান্য কিছু জায়গা সরকারের খাতায় জমা হয়েছে, সুলতান আহমদের ওয়ারিশগনের আবেদনে আমরা যাচাই বাছাই করে তাদের নামে নাম জারি খতিয়ান ভুক্ত করেছি,তাদের নাম জারির বিরুদ্ধে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ এসেছে এবং আমি গত তিন মাস যাবত দুপক্ষের কাগজ দেখে ২৭ফেব্রুয়ারী ও ২মার্চ দুই দিনে রায় শুনানি শেষ করলাম ভুক্তভোগীদের দলিলের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে
What's Your Reaction?






