Dark Mode
Friday, 18 October 2024
Logo
বাংলাদেশের কোটা বিরোধী আন্দোলন

বাংলাদেশের কোটা বিরোধী আন্দোলন

২০২৪ সালে বাংলাদেশের কোটা বিরোধী আন্দোলন নতুন করে আলোচনা ও বিতর্কের কেন্দ্রে এসেছে। পূর্ববর্তী আন্দোলনের ভিত্তিতে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থী ও তরুণরা আবারও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে। ২০১৮ সালের আন্দোলনের ফলাফল ও বর্তমান প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় যে, কোটা পদ্ধতির সংস্কার নিয়ে এখনও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

পটভূমি

২০১৮ সালের কোটা বিরোধী আন্দোলন ছিল একটি মাইলফলক। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সরকার কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা করে এবং কিছু পরিবর্তন আনে। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী ও তরুণদের মতে, এসব পরিবর্তন ছিল অপ্রতুল এবং সমস্যা সমাধান করতে ব্যর্থ।

২০২৪ সালের আন্দোলনের কারণ

১. কোটা পদ্ধতির পুনর্বিবেচনা: কোটা পদ্ধতির বর্তমান রূপ এখনও অনেকের কাছে অসম্পূর্ণ ও অযৌক্তিক মনে হয়। বিশেষ করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার দাবি এখনো প্রবল।

২. সরকারি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন: ২০১৮ সালের পর সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার পূর্ণ বাস্তবায়ন এখনও হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীরা নতুন করে আন্দোলনের পথে নেমেছে।

  1. বেকারত্ব ও কর্মসংস্থান: দেশে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে, ফলে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগের দাবি আরো জোরালো হয়েছে।

আন্দোলনের প্রধান ঘটনাবলী

১. বিক্ষোভ ও সমাবেশ: ২০২৪ সালে শিক্ষার্থীরা আবারও ঢাকার শাহবাগসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছে।

  1. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে আন্দোলনের প্রচার ও সমর্থন বেড়েছে। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে প্রচারণা চালিয়ে জনমত গঠন করছে।

  2. সরকারের প্রতিক্রিয়া: সরকারের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের সাথে সংলাপের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এখনও কোন কার্যকরী সমাধান আসেনি।

আন্দোলনের প্রভাব

১. সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি: নতুন প্রজন্মের মধ্যে রাজনৈতিক ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে যে, যৌক্তিক দাবির জন্য আন্দোলন প্রয়োজনীয়।

  1. নিয়োগ প্রক্রিয়ার সংস্কার: আন্দোলনের ফলে সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ার সংস্কার নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।

উপসংহার

২০২৪ সালের কোটা বিরোধী আন্দোলন পূর্ববর্তী আন্দোলনের ধারাবাহিকতা। এটি প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও তরুণরা এখনও কোটা পদ্ধতির সংস্কার নিয়ে অসন্তুষ্ট। তাদের দাবির যথার্থতা ও যৌক্তিকতা প্রমাণের জন্য সংগঠিত আন্দোলনই তাদের প্রধান হাতিয়ার। সরকারের উচিত শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি মনোযোগ দিয়ে একটি স্থায়ী ও কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করা, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের আন্দোলনের প্রয়োজন না হয়।

 
 
4o


Comment / Reply From

You May Also Like