Dark Mode
Friday, 18 October 2024
Logo
নোয়াখালীতে ফেসবুকে অশ্লীল ছবি ছড়ানোর প্রতিবাদে  রাস্তায় দাঁড়ালেন এলাকাবাসী

নোয়াখালীতে ফেসবুকে অশ্লীল ছবি ছড়ানোর প্রতিবাদে রাস্তায় দাঁড়ালেন এলাকাবাসী

মোঃ রিয়াজুল সোহাগ,
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালী সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের উত্তর শুল্লুকিয়া গ্রামে যুবতীকে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের ছবি মোবাইলে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে সামাজিক অবক্ষয় সৃষ্টি করার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্ত ধর্ষক টোকাই মো. আলা উদ্দিনকে গ্রেপ্তারপূর্বক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।

সোমবার (৬ মে) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার জালাল মাঝি জামে মসজিদ সংলগ্ন সড়কে উত্তর শুল্লুকিয়া ও চরকরমূল্যা গ্রামের বাসিন্দারা এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। অভিযুক্ত যুবক আলা উদ্দিন চরকরমূল্যা গ্রামের মো. হানিফ ওরপে ভুলুর ছেলে।

এসময় বক্তারা বলেন, চরকরমূল্যা গ্রামের টোকাই আলা উদ্দিন দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় স্কুল-মাদ্রাসায় পড়ুয়া মেয়েদের নানাভাবে ইভটিজিং করে আসছে। সাম্প্রতিক আলা উদ্দিন ও তার এক সহযোগী উত্তর শুল্লুকিয়া গ্রামের জনৈক এক যুবতীকে বাগানের মধ্যে ধর্ষণ করে মোবাইলে ছবি ধারণ করে ধর্ষণের ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করলে উল্টো প্রতিবাদকারীদের ওই যুবতীকে দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয় আলা উদ্দিন।

স্থানীয়রা বলেন, আলা উদ্দিন ক্ষমতাশীন দলের কর্মী হওয়ায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়ে ওই ঘটনার ছবি তুলে ফেসবুকে প্রকাশ করে। পাশাপাশি বীরদর্পে এলাকায় ঘুরে বলে বেড়াচ্ছে ওই মেয়ে (ভিকটিম) যদি মামলা না করে, তাহলে কেই কিছুই করতে পারবে না।
অভিযুক্ত আলা উদ্দিনের সঙ্গে ওই যুবতীর ধর্ষণের ওই ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় সামাজিক অবক্ষয় দেখা দিয়েছে দাবি করে সামাজিক অবক্ষয় রোধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ থেকে অভিযুক্ত যুবক আলা উদ্দিনকে গ্রেপ্তারপূর্বক তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়।

এবিষয়ে ভিকটিমের বাবা জানান, আমি বড়ই অসহায়, আমার মেয়ে এবং স্ত্রীকে ওই ছেলে (আলা উদ্দিন) তার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে আমি কিছুই করতে পারছি না।

অভিযুক্ত আলা উদ্দিন নিজেকে আওয়ামী লীগের কর্মী দাবি করে বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ করার কারণে বিএনপির লোকজন আমাকে ফাঁসাতে ওই ছবি ফেসবুকে দিয়েছে।’ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে তো আপনার সঙ্গে ভিকটিমকে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে এমন প্রশ্নে আলা উদ্দিন প্রথমে ছবিটি এডিট করা দাবি করলেও পরে বলেন, ওই মেয়ের সঙ্গে অনেক আগে আমার সম্পর্ক ছিল। এটা তখনকার ছবি হতে পারে।
স্থানীয় কালাদরাপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদাত উল্যাহ সেলিম বলেন, ফেসবুকে ছবি ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি জেনে স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে ভিকটিমের পরিবারকে থানায় মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি। পরবর্তীতে তারা মামলা করেছেন কিনা সেই বিষয়ে আমাকে কিছুই জানাননি।



Comment / Reply From

You May Also Like